রত্ন সাংবাদিকে ভূষিত হলেন পাহাড়ের চারণ সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ

9

॥ নন্দন দেবনাথ ॥
রত্ন সাংবাদিকে ভূষিত হলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক, দৈনিক গিরিদর্পণ ও সাপ্তাহিক বনভূমি সম্পাদক, পাহাড়ে বহু সাংবাদিক গড়ার কারিগর ও সাংবাদিকতার বাতিঘর আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাঙ্গামাটির স্থানীয় একটি হোটেলে পাহাড়ের এই গুনী সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদকে বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি (বিএসসি) কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ রত্ন সাংবাদিক ঘোষণা দিয়ে তার হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট ও মানপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পদক এ কে এম মকছুদ আহমেদকে একুশে অথবা স্বাধীনতা প্রদক অথবা একুশে পদকে ভূষিত করার জন্য বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিনিউটির পক্ষ থেকে দাবী জানান।
কক্সবাজারের রবিন সাংবাদিক ও বিএসসি নেতা ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান তাইয়ান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএসসি প্রধান উপদেষ্টা সাইদুর রহমান রিমন, চট্টগ্রাম প্রতিদিনের উপ-সম্পাদক আয়ান শর্মা, আলোকিত চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ, ডেইলি কমার্শিয়ালের সম্পাদক সুজিত দাশ, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের সিনিয়র সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, দৈনিক জনকন্ঠ রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী, বৈশাখী টিভি রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম প্রতিদিনের উপ-সম্পাদক আয়ান শর্মা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিটি পাহাড়েই এ কে এম মকছুদ আহমেদের পদ চিহ্ন রয়েছে। আমাদের সাংবাদিকতা শুরু থেকেই এই গুনী মানুষটির কথা আমরা শুনে আসছি। পাহাড়ের প্রতিটি মানুষ এই গুনী সাংবাদিককে ভালোবাসে। হাজারো মানুষের ভালোবাসা এই মানুষটিকে আমরা ও একটু ভালোবাসা ও সম্মান দিতে পেরে নিজেদের গর্বিত মনে হচ্ছে।
রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক বলেন, এ কে এম মকছুদ আহমেদ সাংবাদিক জগতের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার হাত ধরে পার্বত্য অঞ্চলের অনেক সাংবাদিক উঠেছে। তিনি ৫৫ বছর আগে সাংবাদিকতা শুরু করেছে অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে। বর্তমানে আমরা স্বর্গের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকতা করছি। তার অবদান আমরা কখনেই ভুলতে পারবো না।
বিএসসি প্রধান উপদেষ্টা সাইদুর রহমান রিমন বক্তারা বলেন, পাহাড়ের সংবাদপত্র জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র এ কে এম মকছুদ আহমেদ তার হাত ধরে অনেক সাংবাদিক আজ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তার লেখনিতে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের অভাব অভিযোগ গুলো উঠে এসেছে। তারে রত্ন সাংবাদিকে ভূষিত করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। তার জীবনী লিখেতে গিয়ে আমাকে অনেক বার হাত বসাতে হয়েছে। যতবারই ঠিক করি ততবারই মনে হচ্ছে কম হচ্ছে। তার জন্য যদি ১০০ পৃষ্টার একটি মানপত্র ও যদি আমরা লিখি তাহলেও শেষ হবে না।
প্রধান অতিথির রাঙ্গামাটি টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, আমাকে যখন কিছু বলতে হতে ঠিক তখনই অনুষ্ঠানে আসার আগে আমি এই গুনী মানুষটি সম্পর্কে অনেক তথ্য নিয়েছি। তার তথ্য নিতে গিয়ে আমার কাছে অবাগ লেগেছে পাহাড়ের বসে থেকে এই মহান সাংবাদিক কোন তার যোগ্য সম্মান পায়নি। তার লেখনী, তার নিষ্ঠা, মানুষকে উপকার করার যে স্পিহা তার মধ্যে রয়েছে তা অন্য কারোর মধ্যে আমরা খুব কম লক্ষ্য করি। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে মানুষের অভাব অভিযোগগুলোর তার দৈনিক গিরিদর্পন ও সাপ্তাহিক বনভূমির মাধ্যমে প্রচার করে আসছে। পাহাড়ের উজ¦ল নক্ষত্র আমরা তার উত্তোরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
সংবর্ধিত অতিথি দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতা করতে গিয়ে আমাকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে। পার্বত্য তিন জেলায় পাহাড়ে পাহাড়ে পায়ে হেটে আমি মানুষের অভাব অভিযোগ গুলো সরকারের উচ্চ পর্যায়ে ও দেশে বিশের সচেতন মানুষের চাখের সামনে নিয়ে এসেছি। পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে আমার পত্রিকা দৈনিক গিরিদর্পনের অবদান অনেক। প্রতিটি সময় পাহাড়ের সমস্যা নিয়ে আমি লিখেছি। তারই ফলশ্রুতিতে সরকারের স্বদিচ্ছায় ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নকে আরো ত্বরান্বিত করতে হলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিভাগ করতে হবে। পার্বত্য তিন জেলাকে ৮ টি সংসদীয় আসনে রূপান্তর করে এই দুর্গম অঞ্চল গুলোর উন্নয়ন আরো অনেক দুর চলে যাবে। তিনি তাকে রত্ন সংবাদিকে ভূষিত করেছে তার জন্য সিএসসি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।