স্বাধীনতার এতবছর পরও মাঝেরবস্তি ধোঁপা পাড়ায় হলো না একটি ব্রীজ, ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার

174

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
একটি পাকা সেতুর বা ব্রীজের অভাবে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে মাঝেরবস্তী সদর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার বাসিন্দারা। তিন যুগের বেশিরও অধিক সময় ধরে তাদের একমাত্র ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো। আর বছরের পর বছর এই বাঁশের সাঁকো তৈরী করতে হয় তাদের নিজস্ব অর্থায়নে। এতে করে প্রতিবছর তাদের গুনতে হচ্ছে টাকা।
জানা গেছে, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সদর উপজেলার প্রথম শ্রেণী রাঙ্গামাটি পৌরসভার মাঝেরবস্তি সদর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার ধোঁপা পাড়ার মধ্যদিয়ে বয়ে গেছে কাপ্তাই হ্রদ। কোনো সংযোগ বাঁধ-পাকা সেতু বা একটি ব্রীজ না থাকায় এখানে নদীর ওপরে নির্মিত অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো দিয়ে এলাকাবাসীরা যাতায়াত করতে হচ্ছে বছরের পর বছর। একমাত্র সংযোগ বাঁধ বা সেতুর অভাবে এলাকাবাসীর যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি বাঁশের সাঁকো। প্রতি বছর উক্ত এলাকাবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে তৈরী করতে হয় পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো। আর ঝুঁকির মধ্যদিয়ে আবাল, বৃদ্ধ-বণিতারা সাঁকো পারাপার করতে হয়।
রাঙ্গামাটি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সদর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার ধোপা পাড়ার সংযোগ বাঁধ বা পাকা ব্রীজটি দেশ স্বাধীনের পর থেকে এখানে একটি ব্রিজের উক্ত এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি হওয়ার পরেও আজ পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কেউ। আর ওখানের বসবাসকারীরা হচ্ছে রাঙ্গামাটি কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে উদবাস্তু পরিবারের সদস্যরা।
স্কুল শিক্ষার্থী করীম উদ্দিনসহ কয়েক জন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা বৃষ্টির সময় ছাতা ও বই নিয়ে বিপদে থাকি। আমরা কি ছাতা হাতে ধরব, নাকি বই ধরব, নাকি বাঁশের সাঁকো ধরে ধরে এই জায়গাটি পেরিয়ে যাব এটা নিয়েই ভয়ে থাকি। কারণ বাঁশের সাঁকোতে হঠাৎ পা পিছলে গেলে দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে এই খেয়াঘাটে একটি পাকা ব্রীজ বা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানালেও দাবিটি বার বারই উপেক্ষিত হয়েছে। এলাকার মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে কোন প্রশাসন এগিয়ে আসেনি এখনো। অনেকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন কাজ হচ্ছে না।
রাঙ্গামাটি পৌরসভার সেই সময় নির্বাচিত ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংশ্লিষ্ট পৌর প্রকৌশলী জানিয়ে ছিলেন, ধোপা পাড়ার সংযোগ বাঁধ বা ব্রীজটি খুবই জরুরি। এখানে বর্তমানে মানুষ বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে পারাপার হয়। এবার এটিসহ আরো কিছু রাস্তার কাজ টেন্ডার হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের শুরু হয়েছে। এই সংযোগের কাজটি তৃতীয় পর্যায়ে শুরু করার কথা রয়েছে। আর এরি মধ্যে আবার পৌর পরিষদ বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে পৌর প্রশাসকের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে পৌর পরিষদ। এলাকাবাসীরা আশা এবারের অন্তর্বতীকালীন সরকারের পৌর প্রশাসন হয়ত বর্তমান পৌর প্রশাসন আমাদের দীর্ঘ তিন যুগেরও অধিক সময় আমাদের ব্রীজ এর দাবী পূরণ হবে আশা করছি। এলাকাবাসীরা দাবী এই সংযোগ বাঁধ বা পাকা ব্রীজ নির্মাণ করাটা অতীব জরুরী।