পর্যটক টানতে বান্দরবানে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের ছাড়ের ঘোষণা

37

॥ রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবান ॥
বান্দরবান পার্বত্য জেলায় পর্যটক টানতে বিভিন্ন সেক্টরে ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে বান্দরবানের একটি হোটেল হল রুমে পর্যটক স্পটসমূহ উন্মুক্তকরণ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবাসিক হোটেল রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, পর্যকদের ভ্রমণে আকৃষ্ট করার জন্য বান্দরবানে আবাসিক হোটেলে ৩৫℅, রিসোর্টে কক্ষ বুকিং ২৫ ℅, খাবার হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে ১০%, জীপ কার মাইক্রোবাস, সিএনজি, মাহিন্দ্রা গাড়িতে ২০% ডিসকাউন্ট ঘোষণা দেন। তিনি আরো জানান, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় হোটেল রিসোর্ট আছে প্রায় ৯৪টি। পর্যটকের ধারণক্ষমতা সাড়ে আট হাজার।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে রাখেন, বান্দরবান জেলা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ নাছিরুল আলম, সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ন্যাচারাল পার্কের মালিক অধ্যাপক মোঃ ওসমান গনি, আবাসিক হোটেল রিসোর্ট ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, হোটেল রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন মাষ্টার সহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।
হোটেল রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, সবাই পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। যে স্পটগুলোতে পর্যটকদের আগ্রহ আছে বিশেষ করে মূল স্পট গুলো এখনো খুলে দেওয়া হয়নি। নভেম্বর মাসের শেষের দিকে যেন বন্ধ থাকা পর্যটন কেন্দ্র গুলো খুলে দেয়। এ মৌসুমে যেন সবাই ব্যবসা করতে পারে।
বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন ভ্রমণে বিরত থাকার বিষয়টি এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর থেকে বান্দরবান সদর, লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি সাথে নীলগিরি পর্যটনকেন্দ্র উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে অন্য তিনটি উপজেলা রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ভ্রমণের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করা হবে।
সম্প্রতি পাহাড়ে সহিংস ঘটনার কারণে প্রশাসন থেকে ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছিলো। পরে তা বাড়িয়ে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ভ্রমণ বন্ধ থাকায় বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্র গুলোতে দর্শণার্থীর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে আসে।