দ্বিতীয় স্বাধীনতায় আধিপত্যবাদ বিস্তার করতে না পারে সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে-মণি স্বপণ দেওয়ান

40

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
দ্বিতীয় স্বাধীনতায় আধিপত্যবাদ যাতে আর প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সেই ব্যাপারে নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী মণি স্বপন দেওয়ান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রাদায়িক অপশক্তি বাসা বেঁধেছে। যারা পর্দার অন্তরালে ষড়যন্ত্রে নেমেছে আমাদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করতে। আগামীতে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য পুত্র তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী শক্তি আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির আয়োজনে ৭ই নভেম্বর মহান বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে পৌরসভা প্রাঙ্গণে পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে সকালে রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পর বিকাল ৪টায় জেলা বিএনপির উদ্যোগে পৌর প্রাঙ্গণ র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সাধারণ সম্পাদক আব্দুলাহ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম শাকিল, কেন্দ্রীয় যুবদলের উপজাতীয় বিষয়ক সম্পাদক আবু সাদাৎ মোঃ সায়েম, ছাত্রদলের সহ সভাপতি আরিফুল মানিকসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে শহরে বর্ণ্যাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালিটি রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে রাঙ্গামাটির প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালীতে রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাঙ্গামাটির ১০ উপজেলা বিএনপির কয়েক হাজার নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে অংশ গ্রহণ করেন।
রাঙ্গামাটি পৌর চত্বরে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিএনপির নেতা কর্মীরা বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে সংঘটিত হয়েছিল সিপাহি-জনতার এক ঐতিহাসিক বিপ্লব। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্য মণ্ডিত। ৭ নভেম্বরের চেতনায় সব জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রের পথচলাকে অবারিত এবং জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি। তারা আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরে আমরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, সেই একই চেতনা বুকে ধারণ করে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিশ্চিত করা, স্বাধীনতার সুফল তথা অর্থনৈতিক মুক্তি, শান্তি-শৃঙ্খলা, সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।