॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে ২ জন নিহত ও আহত হয়েছে আরো ৫ জন। এদিকে ঝড়ো বাতাসে গাছ পড়ে আহত হয়েছে ১ জন। এ ছাড়া তার ছিড়ে যাওয়ার কারনে পুরো শহর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঝড়ো বাতাসের কারনে গাছ পালা ভেংগে ব্যাপক শহরের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এছাড়া বিলবোর্ড, বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাতের কারনে জন জীবন বিপযস্থ হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, বিকালে ঝড়ের আগে বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাত হয়। এ সময় ভোগীরণ ত্রিপুরা গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে মারা যান। বজ্রপাত নিহত ভোগীরণ ত্রিপুরা সদর উপজেলার আলুটিলার অচাই পাড়া এলাকায় বাসিন্দা। এ ছাড়া মহালছড়ি উপজেলায় খেয়াংসা পাড়া এলাকায় বজ্রপাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়। তবে নিহত নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। এতে আহত হয়েছেন ৫জন।
এদিকে খাগড়াছড়ি বাস টার্মিনালের মূল সড়কের উপর গাছ ভেঙে পড়ার কারণে প্রায় এক ঘন্টা ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের গ্যারেজ শেডের উপরে একটি গাছ পড়ে কয়েকটি গাড়ি চাপা পড়ে। এতে বাবুল ত্রিপুরা (২৭) নামে এক ব্যক্তি মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্বার করে হাসপাতালে ভর্ত্তি করে।
এছাড়াও বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে উপর গাছ ভেঙে পড়ার কারনে পুরো শহর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখনো অন্ধকারে রয়েছে খাগড়াছড়ি সদরসহ অপর ৪টি উপজেলা।
ফায়ার সার্ভিসের রাজেশ বড়ুয়া বলেন, শহরের বাস স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়ায় গাছ উপড়ে পড়েছে। কয়েকটি স্থান থেকে ভেঙে পড়া গাছ সরানো হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ভেঙে পড়া গাছগুলো অপসারণের করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, ঝড়ে গাছ উপড়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কয়েকটি গাড়ির ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া জানালার কাঁচ ও দুটি এসি নষ্ট হয়ে গেছে।
খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাগত সরকার জানান, ঝড়ো বাতাস ও বজ্রপাতের কারণে বিভিন্ন স্থানে গাছ, গাছের ডালপালা ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনের উপর পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সংযোগ তারও ছিড়ে গেছে। লাইন চেকিংয়ের কাজ শুরু করা হয়েছে। আশাকরি দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া দেয়া হবে।