॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও পাহাড়ের বিপ্লবী নেতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জুম্ম জনগণের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটিতে জুম্ম জাতীয় ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ় করুন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্ধ পরিপন্থী সকল কার্যক্রম প্রতিরোধ করুন জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অধিকতর সামিল হউন এই শ্লোগানে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির আয়োজনে রিসোর্স সেন্টার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির সদস্যা নতুন মালা চাকমার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটির সাবেক সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি উষাতন তালুকদার।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী ফোরামের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শিশির চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি জিকু চাকমা, হিল উইম্যান ফেডারেশনের রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যানি চাকমা প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, পাহাড়ের জুম্ম জাতির অধিকার আদায়ে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা আমৃত্যু আন্দোলন করে গিয়েছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে ঘাতকরা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাকে হত্যা করলেও তার আদর্শকে ম্লান করতে পারেনি। জুম্ম জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।
বক্তারা আরো বলেন, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা অঞ্চলের মানুষের অধিকার নিয়ে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি লড়াই সংগ্রাম করেছেন। তিনি শুধু পাহাড়ের মানুষের নেতা ছিলেন না; তাঁর সংগ্রাম ছিল দেশের সকল শ্রেণীর নিপীড়িত গণমানুষের পক্ষে, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে। মানুষের অধিকার জন্য কাজ করতে গিয়ে কিছু বিপদগামী লোকের কারনে এই মহান নেতা মৃত্যু বরণ করতে হয়েছিল। তাঁর দেখানো পথে এগিয়ে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি।’
উল্লেখ, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নির্বাচিত প্রথম সংসদ সদস্য। ১৯৮৩ সালের এই দিনে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ ভারতের সীমান্তের ভগবান টিলা এলাকায় আভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে আট সহযোদ্ধাসহ নিহত হন মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ওরফে (এমএন লারমা)। সে থেকে প্রতি বছর দিনটি পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণ জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।