সাফজয়ী পাহাড়ের ফুটবল কন্যাদের সংবর্ধনা দিবে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন

26

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
উইমেন’স সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী পাহাড়ের তিন কন্যাকে সংবর্ধনা দিতে যাচ্ছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
জেলা প্রশাসক জানান, নেপালের কাঠমাণ্ডুতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া এই কন্যাদের সম্মানে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। কারণ এটি একটি খুবই আনন্দের বিষয় যে পার্বত্য জেলার ৫টি মেয়ে জাতীয় দলে খেলেছে এবং সাফ ফুটবলে দ্বিতীয় বারের মতো চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে এটা একটি গর্বিত একটি বিষয়। তাই তারা যখন রাঙ্গামাটিতে আসবে রাঙ্গামটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান কীভাবে সেরা আয়োজন করা যায়, সেই পরিকল্পনাও চলছে।
গত বুধবার কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এ যাত্রায় দেশের হয়ে সাফল্যের আলো ছড়িয়েছেন পাহাড়ের বীর কন্যারা।
নেপালের গোলবারে দুটি বল পাঠানোর কৃতিত্ব পাহাড়ের দুই মেয়ে মনিকা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমার। খেলার ৮১তম মিনিটে ঋতুপর্ণার দুর্দান্ত এক গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এর আগে, ৫২তম মিনিটে মনিকা চাকমা প্রথম গোলটি করেন। তবে প্রথম গোলের মাত্র চার মিনিট পরেই নেপাল গোল শোধ করেছিল। শেষ পর্যন্ত ঋতুপর্ণার জয়সূচক গোল আর পরিশোধ করতে না পেরে পরাজিত হয় নেপাল।
এই খেলার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন রাঙ্গামাটির কন্যা ঋতুপর্ণা চাকমা এবং টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন রূপনা চাকমা।
পাহাড়ের মেয়ে ঋতুপর্ণা চাকমার গ্রামের বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের দূর্গম মগাছড়ি গ্রামে। আর রূপনা চাকমার বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ভূঁইয়াদাম গ্রামে। আর মনিকা চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নের সুমান্ত পাড়ায়।