॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটির পর্যটন শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ে পর্যটক ভ্রমনে নিরুৎসাহিত সময় বৃদ্ধি না করতে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান।
তিনি বলেন, পর্যটন শিল্পে সম্ভাবনাময় একটি জেলা রাঙ্গামাটি। মহা পরিকল্পনার মাধ্যমে রাঙ্গামাটি জেলাকে সেরা পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের মাধ্যমে বোঝা যায় রাঙ্গামাটি এই জেলা কতটা সম্ভাবনাময়। আর ইতিমধ্যে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে নতুন নতুন পর্যটন স্পট। এসব পর্যটন স্পটগুলো আরো সমৃদ্ধ করতে যার যার অবস্থা থেকে এগিয়ে আসতে হবে। আর আমাদের রাঙ্গামাটিতে অনেক সম্ভাবনাময় স্থান রয়েছে। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে পারলে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
আজ দুপুরে রাঙ্গামাটি বার্গি লেক ভ্যালীর সম্মেলন কক্ষে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট অংশিজনের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুমকিং ইকো রির্সোটের পরিচালক তনয় দেওয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও পৌর প্রশাসক নাসরিন সুলতানা, বার্গি লেক ভ্যালী পরিচালক বাপ্পী তংচঙ্গ্যা, রাঙ্গামাটি লঞ্চ মালিক সমিতি সভাপতি ও আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিন সেলিম প্রমুখ।
রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, বেড়াতে আসা পর্যটকদের সব ধরনের প্রশাসনিক ও নিরাপত্তাজনিত সহায়তা দেয়ার জন্য পরিপূর্ণ ভাবে জেলা পুলিশ প্রস্তুত। আমাদের যেসব প্রস্তুতি আছে যাতে করে কোন পর্যটক এখানে এসে কোন ভাবেই তাদের নিরাপত্তাহীনতার মাঝে না পড়ে। আর মূলত আমার জানা মতে রাঙ্গামাটি পর্যটক ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। দেয়া হয়েছিল নিরুৎসাহিত করণ। তবুও এখনো অনেক পর্যটক নিজেদের উচ্ছায় আসছে বিছিন্ন ভাবে। যে সমস্যাটি হয়েছে তা হলো ব্যাপক ভাবে নিরুসাহিত করা হয়েছে। এই কারণে পর্যটকরা আসছে না। এতে করে পর্যটক শিল্পে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আশাকরি সবকিছু স্বাভাবিক হলে নিরুসাহিত প্রত্যাহার করা করা হলে আবারো পর্যটকরা আসবে এবং পর্যটকদের সাথে সংশ্লিষ্ট যারা আছে তারা আবারো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।