বিলাইছড়িতে সীমিত পরিসরে প্রবারণা উদযাপন, উড়লো না ফানুস

6

॥ সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি ॥
দেশের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিলাইছড়ি উপজেলায় কুতুব দিয়া স্বধর্মোদ্বয় বৌদ্ধ বিহারে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে প্রবারণা পূর্ণিমা। প্রবারণা হল আত্নশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের ধর্মীয় উৎসব।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিহার পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে সকাল থেকে বিহারে বৌদ্ধদের পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধপূজা, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান, ত্রিপিটক দান, অন্নদানসহ নানাবিধ দানের মধ্য দিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। এছাড়া হাজার প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে প্রবারণা তিথি তথা উৎসবটির সমাপ্তি হবে বলে জানা যায়। এতে ধর্ম দেশনা ও বিহার উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়াও শুক্রবার হতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিলাইছড়ি উপজেলায় দীঘলছড়ি, বনবিহার, কেরনছড়ি, তিনকুনিয়া, ফারুয়া, এগুজ্জ্যা ছড়ি, ধূপ্যাচরসহ প্রায় ৬০টি বৌদ্ধ বিহারে এবং রাঙ্গামাটি জেলার বনবিহার, রাজবিহারসহ প্রায় ৮০০ উপরে বিহারে প্রবারণা সীমিত আকারে উদযাপন করলো।
উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ধর্মীয় ভিক্ষুরা তিন মাস বর্ষাবাসের শেষ দিনটিতে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন করেন। সম্প্রতি ভিক্ষু সংঘের রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে বিহার, ত্রিপিটক ও বুদ্ধমূর্তি ভাংচুর প্রতিবাদে গত ৬ অক্টোবর রাঙ্গামাটির মৈত্রী বিহারে সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘের কঠিন চীবর দান উদযাপন না করার ১৫টি ভিক্ষু সংগঠন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সে অনুযায়ী প্রবারণা পূর্নিমা উদযাপনে এ বছর ফানুস উড়ানো ও কঠিন চীবর দান স্থগিত রাখা হয়েছে।