রাঙ্গামাটিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

13

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
দেশের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে রাঙ্গামাটিতে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় বৌদ্ধ বিহার ও শাখা বন বিহারগুলোতে বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে উদযাপিত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা।
বৌদ্ধ ধর্মীয় ভিক্ষুরা তিন মাস বর্ষাবাসের শেষ দিনটিতে প্রবারণা পূর্ণিমা হিসেবে উদযাপন করে। প্রবারণা হল আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের ধর্মীয় উৎসব। আর এরপর থেকে দীর্ঘ একমাস ধরে আয়োজন চলবে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দানোৎসব।
প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাঙ্গামাটি রিজার্ভ বাজার ঝুলিক্কা পাহাড় স্বধর্ম বৌদ্ধ বিহারে পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধপূজা, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তিদান, অন্নদানসহ নানাবিধ দানের মধ্যদিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা হয়।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে স্বধর্ম প্রাণ দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন, কাটাছড়ি বন বিহারে অধ্যক্ষ শ্রীমৎ প্রজ্ঞাদর্শী থের ও বৌদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত করুনা পাল থের।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম শাকিল, রাঙ্গামাটি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাৎ মোঃ সায়েম, স্বধর্ম বৌদ্ধ বিহারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য উদয়ন বড়ুয়াসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভোরে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন বিহারে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষু সংঘের পিন্ডদান ও প্রাতঃরাশ, মঙ্গল সুত্র পাঠ, বুদ্ধ পুজা, পঞ্চশিল প্রার্থনা, মহাসংঘ দান, প্রদীপ পুজা, হাজার বাতি দানসহ বিভিন্ন দানানুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে প্রবারণা পালন করা হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনায় সমবেত প্রার্থনা করা হয়।
উল্লেখ্য, আইড় হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ি পুর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পুর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উৎসব পালন করেন। সেই থেকে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা বর্ষাবাস শেষে দিনটি পালন করে আসছেন।