খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা পালিত

11

॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়িতে যথাযথ ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা পালিত হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা। আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূণিমা পর্যন্ত বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তিন মাস বর্ষাবাসের পর, এ প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করা হয়।
দিনটি উদযাপরের লক্ষ্যে বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ ধর্মালম্বী নর-নারীরা বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
শুভ প্রবারণা পুর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে সমবেত প্রার্থনা, বুদ্ধ পূজা, প্রদীপ প্রজ্জলন, পঞ্চশীল প্রার্থনা, অষ্ট পরিস্কার দান, বুদ্ধ মুর্তি দান, ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে সংঘ দান, কল্পতরু দান, হাজার প্রদীপ দান, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের চীবর দান, পিন্ড দানসহ নানাবিধ দান করা হয়। এ দিনটি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্য পূর্ণ।
এ সময় দায়ক-দায়িকাদের পঞ্চশীল প্রার্থনাও ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। এ ছাড়া ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমার তাৎপর্যের উপর আলোচনার পাশাপাশি প্রদীপপূজা, এবং দেশের অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও বিশ্বশান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনার আয়োজন রয়েছে।
এদিকে পার্বত্য এলাকায় সহিংস ঘটনার কারনে এবার তিন পার্বত্য জেলার কোন বৌদ্ধ বিহারে আলোকসজ্জা, ফানুস ওড়ানো ও জল প্রদীপ বা কল্প জাহাজ নদীতে ভাসানো হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সাধনা লাভের আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূণিমা পর্যন্ত এই তিন মাস আত্মশুদ্ধি ও মনের পবিত্রতার জন্য ধ্যান, সাধনা, ভাবনা, নীতি অনুশীলন করেন। এই তিন মাস বৌদ্ধ ভিক্ষুরা নিজের বৌদ্ধ বিহারের বাইরে অন্যকোন বৌদ্ধ বিহারেও রাত্রিযাপন করেন না। এছাড়া বৌদ্ধ নর নারীরা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কাছ থেকে স্বধর্ম শ্রবণ করেন। আষাঢ়ী পূর্ণিমায় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তিন মাসের জন্য বর্ষাবাস শুরু করেন, যা আশ্বিনী পূর্ণিমায় অর্থাৎ আজ শেষ হচ্ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে চলবে মাসব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব।