পাহাড়ে যা কিছু করেছি নিঃস্বার্থ ভাবে সবার জন্য করেছি-এ কে এম মকছুদ আহমেদ

20

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের পক্ষ থেকে দুই বিশিষ্ট সাংবাদিককে উষ্ণ সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) কম্প্রিহেনসিভ কমিউনিটি হেলথ প্রোগ্রামের আয়োজনে এই উষ্ণ সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের সিসিএইচপি কনফারেন্স হল রুমে কম্প্রিহেনসিভ কমিউনিটি হেলথ প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজার বিজয় মারমার সঞ্জালনায় এবং চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা: প্রবীর খিয়াং এর সভাপতিত্বে চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার জগতের পথিকৃৎ সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পনের সম্পাদক চারণ সাংবাদিক এ, কে, এম মকছুদ আহমেদ এবং পোর্ট্রেট নিউজ ২৪ নেট ও দৈনিক পূর্বকোণের সাবেক ফটো সাংবাদিক রূপম চক্রবর্তীকে হাসপাতালের কম্প্রিহেনসিভ কমিউনিটি হেলথ প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে এই উষ্ণ সংবর্ধনা ও সম্মানা প্রদান করা হয়েছে।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কাপ্তাই সিনিয়র মৎস্য অফিসার আরিফুর রহমান, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বিমল জ্যোতি চাকমা, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ব্যাপ্টিস্ট চার্চ সংঘের সভাপতি বিপ্লব মারমা, রূপসী কাপ্তাইয়ের সম্পাদক সাংবাদিক কাজী মোশাররফ হোসেন, মানবাধিকার কর্মী অলক বড়ুয়া প্রমুখ।
সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রাপ্ত অতিথি একেএম মকছুদ আহমেদ বলেন, পাহাড়ে যা কিছু করেছি নিঃস্বার্থ ভাবে সবার জন্য করেছি। এখানে কে পাহাড়ী কে বাঙ্গালী তা বিভেদ কখনো করিনি। আমি চেয়েছি পাহাড়ের মানুষের ভাগ্য বদলাতে। তাদের জীবনমান উন্নয়নের ধাবিত করতে।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যখন সাংবাদিকতা শুরু করি তখন আজকের মতো তথ্য প্রযুক্তি উন্নত ছিলো না। ছিলো না কোন ইন্টারনেট সংযোগ। মাইলের পর মাইল হেঁটে আমি সংবাদ সংগ্রহ করেছি। যা সত্য তাই প্রকাশ করেছি নিঃসংকোচে। কখনোই কারো বিরুদ্ধে অপসাংবাদিকতায় লিপ্ত হয় নাই। সত্য এবং সাহসিকতার সাথে এই পেশায় বছরের পর বছর কাজ করে গেছি। কারোর কাছে মাথা নত করি নাই। জীবনে অনেক ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে পার্বত্যাঞ্চলে সৎ সাহসিকতার সাথে সাংবাদিকতা করে গেছি। আমার লেখনীর মাধ্যমে আমি সবসময় চেষ্টা করেছি পার্বত্য এলাকায় শান্তি বিরাজ করুক। এখানকার সম্ভবনাগুলোকে তুলে ধরার কারণে আজ পার্বত্য জেলায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে।
এসময় তিনি চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, পার্বত্যঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবার বাতিঘর হিসাবে চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতাল নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের কারণে শত শত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। আর সুদীর্ঘ চলার পথে আমার সাথে এই চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের নীবির সর্ম্পক রয়েছে, রয়েছে ভালোবাসা। আর আজকে যে আমাকে সংবর্ধনা ও সম্মানা পেয়ে আমি ধন্য। এই সংবর্ধনা ও সম্মানা আমি আজীবন স্বরণ করবো।
সংবর্ধিত ও সম্মানা প্রাপ্ত অতিথি ফটো সাংবাদিক রূপন চক্রবর্তী বলেন, চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের পক্ষ থেকে আমাকে যে সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রাপ্ত হয়েছে তার কারণে আমাকে আরোও দায়িত্ব বাড়িয়ে দিল। আমি আমার সাংবাদিকতার জীবনে লেখনির সাথে সাথে ছবি তুলে মানুষের সুখ, দুঃখ তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। আমি চেয়েছি আজীবন মানুষের কল্যানে কাজ করতে। ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের।
সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা: প্রবীর খিয়াং বলেন, পাহাড়ে সাংবাদিকতায় এ কে এম মকছুদ আহমেদ লেখনির কষ্ঠস্বর। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে পাহাড়ের মানুষের সুখ, দুঃখ, বেদনা, হাসি, কান্না তার লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরছেন। আর তার সাংবাদিকতার জীবনে পার্বত্য এলাকায় অশান্তির দাবানল থেকে মুক্ত করতে সেই সময় সাহসিকতার মাধ্যমে সাংবাদিকতা করে গেছেন পাহাড়ে। তাই তার এই অবদান পাহাড়ের মানুষ কোন দিন ভুলতে পারবে না। আর পাহাড়ে চারণ এ কে এম মকছুদ আহমেদের অবদানের কথা সবার কাছে স্বরনীয় করে রাখতে এবং চট্টগ্রামের মাটি আর মানুষের প্রকৃত চিত্র ফুটিয়ে তোলার বন্ধু পোর্ট্রেট নিউজ ২৪ নেট ও দৈনিক পূর্বকোণের সাবেক ফটো সাংবাদিক রূপম চক্রবর্তীকে চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের পক্ষ থেকে দুই বিশিষ্ট সাংবাদিককে উষ্ণ সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। গুনীজনদের সম্মান না করলে গুনী লোক জন্মায় না। আমরা চাই তারা আরো যুগ যুগ ধরে বেঁচে থেকে দেশ ও জাতির উন্নয়নে ভুমিকা রাখুক।