॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়টি রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সাথে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। তিনি বলেন, একটি শিশু জন্মের পর জন্মনিবন্ধন লাভের অধিকার আছে এবং এই অধিকার নিশ্চিত করবে পিতা মাতা। রাষ্ট্রে দ্রুত নাগরিক সেবা প্রদান এবং গ্রহণের জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আবশ্যক। সকলের নিবন্ধন সম্পন্ন হলে তাৎক্ষণিক যেকোনো সেবা প্রদান সহজ হবে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আনবে দেশে সুশাসন এই প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রশাসক নাসরিন সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মতিউর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আছমা, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মংক্য চিং, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ঋষিকেশ শীল, জেলা মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অনুকা খীসা, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, জেলা জামায়াতের যুগ্ম সম্পাদক মনসুরুল হক, বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের উদ্যোক্তা সুভাষ বসু চাকমা প্রমুখ। এছাড়া সভায় বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, জনসাধারনের নাগরিক সুবিধা পেতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে। বক্তারা বলেন, জনগণ যাতে সহজ পদ্ধতিতে জন্ম ও মৃত্যু সনদ পেতে পারে সেই জন্য সরকার দেশব্যাপী কাজ করে যাচ্ছে।
বিগত ছয়মাসে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন উপজেলার দূর্গম এলাকায় জনসাধারনের মাঝে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন পৌছে দেয়ায় জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার রুপকারী ইউনিয়ন, বরকল উপজেলার সুভলং ইউনিয়ন ও জুরাছড়ি উপজেলার মৈদং ইউনিয়নকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভার আগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষ্যে সকাল ৯টায় শহরের হ্যাপী মোড় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চত্বরে এসে শেষ হয়।