খাগড়াছড়ি জেলার শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নে সকলকেই সহযোগিতা করতে হবে- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান

16

॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়িতে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে পাহাড়ি ও গণ্যমান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান, এসপিপি, এনডিসি, পিএসসি। তিনি সভায় খাগড়াছড়ি জেলার শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মধু মঙ্গল চাকমা, ড. সুধীন কুমার চাকমা, ডা শহীদ তালুকদার, প্রবীন চন্দ্র চাকমা, ম্রাসাথোয়াই মারমা, শেপালীকা ত্রিপুরা ও সুশীল জীবন ত্রিপুরা বিশিষ্ট পাহাড়ি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান পাহাড়ি নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সংঘাত ও সংঘর্ষ এড়ানো এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহায়তা করতে বলেন।
রিজিয়ন কামান্ডার উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করে বলেন, তিনি বাঙালি নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেছেন এবং তারা ঘটনার প্রেক্ষিতে বাঙালি নেতৃবৃন্দ তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আন্তরিক।
উল্লেখ, গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) একই প্রতিষ্ঠানের ৭ম শ্রেণির ত্রিপুরা এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার জেরে শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। চলে সংর্ঘষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই দিন বিকাল ৩টা থেকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও পৌর শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বুধবার বিকাল ৩টায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়।