॥ আলহাজ্ব এ, কে, এম, মকছুদ আহমেদ ॥
দেশের গ্রামীণ সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কেননা অনেক সমস্যা এবং দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। এছাড়াও ডিএফপি বিভিন্ন জাতীয় দিবসে প্রকাশিত ক্রোড়পত্রে অনেক বিল বকেয়া রয়েছে। বর্তমানে সংবাদপত্রের সাথে বিভিন্ন কাঁচামালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে মফস্বলের সংবাদপত্রগুলো টিকিয়ে রাখা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
দীর্ঘদিন যাবত এই সমস্যা চলতে থাকায় গ্রামীণ এলাকার অনেক সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট সংবাদপত্র ঢুকে ধুকে মরার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কাজেই গ্রামীন সংবাদপত্রগুলোকে বাঁচাতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
২০০৫ সাল থেকে বিজ্ঞাপনের বিলের বন্টনে অনিয়মের ফলে গ্রামীণ সংবাদপত্রগুলোর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে পড়েছে। পূর্বের ডিএফপি থেকে বিজ্ঞাপন বিলের বন্টন করা হতো, সেটা অনেক ভালো ছিল। পরবর্তীতে বিজ্ঞাপন নীতিমালা পরিবর্তন করে তিনটা জাতীয় ও তিনটা স্থানীয় দৈনিক বিজ্ঞাপন প্রচারের নিয়োগ থাকলেও কেউ মানছে না।
ইতিপূর্বে উপজেলা পরিষদের বিজ্ঞাপন সরকারি দেওয়ার বিধান ছিল। সেটার দ্বারা গ্রামীণ সংবাদপত্রগুলো টিকে থাকতো। বর্তমানে অত্যন্ত দুর্দিন চলছে। উপজেলা পরিষদের বিজ্ঞাপনগুলো সরাসরি স্থানীয় সংবাদপত্রে দেওয়ার বিধান করা দরকার। তাহলে স্থানীয় পত্রিকাগুলো কিছুটা সমস্যা হবে। অন্যদিকে গত দুই/তিন বছর যাবত বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ক্রোড়পত্রের বিল বকেয়া থাকায় গ্রামীন সংবাদপত্রগুলো সংকট বাড়ছে। বকেয়া বিলগুলো পরিষদের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন রাখছি।
এছাড়াও বেতন বোর্ড নিয়ে গ্রামীণ সংবাদপত্রগুলোর ওপর বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে তা নিরসন করা দরকার। যেহেতু শহরের এবং গ্রামের পত্রিকার আয় আকাশ পাতাল তফাৎ। তাই গ্রামীণ সংবাদপত্রগুলোর আয় অনুপাতে বেতন বোর্ড রোয়েদা নিরসন করা দরকার। গ্রামীন এলাকায় যেসব সাংবাদিক কর্মরত রয়েছেন তাদের জন্য যে বেতন বোর্ড ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত নগণ্য। সেটাও সব জাতীয় সংবাদপত্রগুলো দিচ্ছে না বললে ভুল হবে না। হাতে গোনা কয়েকটি পত্রিকা দিচ্ছে। অনেক পুরাতন পত্রিকাও দিচ্ছে না। এদিকে একটু নজর দেওয়া দরকার।
মফস্বলের সাংবাদিকদের বিজ্ঞাপনের যে কমিশন দেওয়া হয় তা অত্যন্ত নগণ্য। সেটাও ঠিকমত দেওয়া হয় না। সমস্যা যেমন আছে, তেমন সমাধানও আছে। তবে সমাধানে আন্তরিক হতে হবে।
নিউজপ্রিন্ট, কালী, প্লেকার্ড ইত্যাদির দাম কমানোর ব্যবস্থা নিলে গ্রামীন সংবাদপত্রগুলোর কষ্ট লাগব হবে। (লেখকঃ-সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক গিরিদর্পণ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা ও সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ গ্রামীণ সংবাদপত্র পরিষদ, ঢাকা।