॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা প্রাথমিক, মাধ্যমিকসহ প্রতিটি স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তার শাসনামলে মেডিকেলে ভর্তির প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, বিসিএস পরীক্ষায় প্রশ্ন টাকার বিনিময়ে বেঁচাকেনা হয়েছে। টাকার কাছে মেধাবীরা পরাজিত হয়েছিল। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। আওয়ামী লীগ আমলে টাকা ছাড়া মেধার ভিত্তিতে কেউ চাকরি পায়নি। এখন বৈষম্যের দিন শেষ। ছাত্ররাই দেখিয়ে দিয়েছে কোনো প্রকার বৈষম্যই বাংলায় ঠাঁই হবে না।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৌর টাউন হল সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি খাগড়াছড়ি জেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় ও শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া এসব কথা বলেন।
খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মাসুদ পারভেজ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এম.এন. আবছার, জেলা বিএনপি’র প্রধান উপদেষ্টা জাকিয়া জিন্নাত বিথী, যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট আবদুল মালেক মিন্টু, মোশাররফ হোসেন, অনিমেষ চাকমা রিংকু, জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন ও জেলা যুব দলের সভাপতি মাহাবুব আলম সবুজ প্রমুখ। এসময় জেলার ৯ উপজেলা থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ওয়াদুদ ভূইয়া অভিযোগ করে আরো বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর অনেকে নানাভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। তাদের মধ্যে কিছু বিএনপি নামধারীও ছিল। এ সব অরাজকতাকারীদের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি ব্যবস্থা নিয়েছে।
ওয়াদুদ ভূইয়া আগামীতে শোষণ ও নিপীড়ন মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত খাগড়াছড়িতে প্রাথমিক শিক্ষাসহ সকল নিয়োগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ছিল। মেধার ভিত্তিতে অসংখ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কারো কাছ থেকে এককাপ চা খায়নি। কিন্তু বিগত ১৫ বছরে শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য হয়েছে। খোদ এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকায় শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। যা ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ছাত্র-জনতার অভ্যু ত্থানকে পুঁজি করে একটি মহল খাগড়াছড়ি অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পায়তারা করেছে। আমার নির্দেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিহত করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা রাত জেগে হিন্দুদের মন্দিরে পাহারা দিয়েছে। পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাসহ পরাজিত শক্তি এখনো সুযোগ খুঁজছে। তারা ছোবল মারার চেষ্টা করছে।