কাপ্তাই হ্রদে তলিয়ে গেছে রাঙ্গামাটি দৃষ্টিনন্দন পর্যটন ঝুলন্ত সেতু

123

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় পানিতে তলিয়ে গেছে রাঙ্গামাটি পর্যটনের দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত সেতু। এতে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশন।
শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) সকালে কাপ্তাই হ্রদে সেতুর পাটাতনে প্রায় ১ফুট পরিমাণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে সেতুটি। এ সময় বেড়াতে আসা পর্যটকদের পারাপার নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন্ধ করে দিয়েছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ। এতে বেড়াতে আসা অনেক পর্যটক সেতুতে উঠতে না পেরে হতাশ হয়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝুলন্ত সেতুর পাটাতনের ওপর পানি উঠেছে প্রায় ১ফুটের কাছাকাছি, যা বেড়েই চলেছে। পানির চাপে অনেক স্থানেই খুলে গেছে সেতুর পাটাতনের কাঠ। ফলে সেতুতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যটকদের। তবে অনেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলাচল করছেন সেতুতে। ফলে যেকোনও সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে ঝুলন্ত সেতু ডুবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় পর্যটকদের জন্য শুক্রবার সকাল থেকে ঝুলন্ত সেতু পারাপারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হ্রদের পানি কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঝুলন্ত সেতুটি চলাচলের উপযোগী হলে আবার চলাচলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বর্ষা মৌসুম আসলে প্রতি বছর রাঙ্গামাটি পর্যটনের দৃষ্টিনন্দন এই ঝুলন্ত সেতুটি কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে যায়। ঝুলন্ত সেতুটি সংস্কার ও সেতুটি আরো উঁচুতে স্থানান্তরসহ পর্যটন এলাকাটি পর্যটকদের জন্য আরও সৌন্দর্য্য বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আগত পর্যটকসহ স্থানীয়রা।
এদিকে ভারী বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে কর্ণফুলির শাখা নদীতে ও কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়তে শুরু করায় বাঘাইছড়ি ও বরকল উপজেলায় বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি শুরু হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে তলিয়ে গেছে ফসলী ক্ষেত, নিন্মাঞ্চলের অসংখ্য বসতবাড়ি।
বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে বরকলের আইমাছড়া মুখ, বাগছড়ি, বগাছড়ি, হেডবরিয়ে, কলাবুনিয়া, সুয়ারিপাতা, সাক্রাছড়ি, বরকল সদরের চাইল্ল্যাতলি, গৌরস্তাান, ভূষণছড়া, ছোট হরিণা, দোকানঘাট, দেয়ানচর, মাইচছড়ি, বিলছড়া, হালাম্বা, চিলছড়িম বাগাচলা। এছাড়া বড়হরিণা, ঠেগাখালের নিকটবর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে।