॥ কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই ॥
রাঙ্গামাটির ঐহিত্যময় ও গুরুত্বপূর্ণ মন্দির ‘বনভান্তে স্মৃতি চৈত্য’ মন্দির সুরক্ষায় কাপ্তাইয়ে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ১০ আর ই ব্যাটালিয়ন অনন্য ভূমিকা পালন করছে বলে জানা গেছে। বনভান্তে স্মৃতি চৈত্য মন্দিরে যাতে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে এবং কোন দুষ্কৃতিকারি এর ক্ষতি সাধন করতে না পারে সেজন্য সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল অব্যাহত রেখেছে বলেও জানা গেছে। সেনাবাহিনীর রাঙ্গামাটি রিজিয়নের ১০ আর ই ব্যাটালিয়নের আওতাধীন বরাদম আর্মি পোস্টের পাশে এই বনভান্তে স্মৃতি চৈত্য অবস্থিত হওয়ায় এর সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করার জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১০ আর ই ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ সোহেলের নির্দেশে ব্যাটালিয়নের অপস্ অফিসার ক্যাপ্টেন বখতিয়ার আহমেদ বনভান্তে স্মৃতি চৈত্য পরিদর্শন করেন।
এসময় বনভান্তে স্মৃতি চৈত্য মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত সং কিচ্চ ভিক্ষু ও শান্ত উজ্জল ভিক্ষু, বরাদম মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক অরুণ জ্যোতি চাকমা এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ক্যাপ্টেন বখতিয়ার আহমেদ বন ভান্তে স্মৃতি চৈত্যের ভিক্ষু এবং মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন।
সময় তিনি বলেন, মন্দির কর্তৃপক্ষ আইন শৃঙ্খলা সুরক্ষাসহ যে কোন বিষয়ে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাইলে তাৎক্ষনিক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে বাংলাদেশ সেনবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। বনভান্তে স্মৃতি চৈত্য ছাড়াও আশপাশে কোন মন্দির বা অন্য কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি যদি আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সহযোগিতা চায় সেনাবাহিনী সার্বক্ষনিক সহযোগিতা দিবে। এবং বনভান্তে স্মৃতি চৈত্যসহ অন্যান্য মন্দির সমুহ সুরক্ষায় সেনাবাহিনীর নজর দারিতে রয়েছে বলেও ক্যাপ্টেন বখতিয়ার আহমেদ জানান।
বনভান্তে স্মৃতি চৈত্য মন্দিরের ভিক্ষু সং কিচ্চ ভিক্ষু ও বরাদম মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক অরুণ জ্যোতি চাকমা বলেন, বনভান্তে স্মৃতি চৈত্য মন্দিরটি অনেকটা নির্জন জায়গায় অবস্থিত হলেও বিপুল সংখ্যক ভক্ত প্রতিনিয়ত এখানে শ্রদ্ধা ও ভক্তি জানাতে আসেন। বর্তমান চলমান পরিস্থিতিতে বনভান্তে স্মৃতি চৈত্য মন্দিরে যাতে কোন সমস্যা না হয় সে জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আন্তরিক সহযোগিতা প্রদান করছে। আমাদের মন্দিরের পাশেই সেনাবাহিনী ১০ আরই ব্যাটালিয়নের ক্যাম্প থাকায় এবং ক্যাম্পে সর্বক্ষনিক সেনাবাহিনীর উপস্থিতি থাকায় আমরা সবাই নিরাপদ বোধ করছি। ক্যাম্পের সামনে সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় প্রতিটি যানবাহনকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তল্লাশী করায় কোন অসৎ মনের মানুষ এই পথ দিয়ে চলাচল করতে সাহস পায়না বলেও তাঁরা মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে ১০ আর ই ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ সোহেল পিএসসি বলেন, সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধানের দিক নির্দেশনায় সর্বস্তরের জনগণ এবং প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিধানে আমরা দায়িত্ব পালন করে আসছি। যে কোন মানুষ যে কোন সময় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাইলে আমরা সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছি বলেও লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ সোহেল জানান।