জন্মদিনে অগণিত মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হলেন দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ

45

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
জন্মদিনে অগণিত মানুষের ভালোবাসা ও ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের পথ প্রদর্শক, সাংবাদিকদের ইনিষ্টিটিউট ও সংবাদপত্রের পথিকৃৎ এবং পার্বত্য অঞ্চলের সর্বপ্রথম প্রচার বহুল পত্রিকা সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক চারণ সাংবাদিক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল থেকে ৮০তম জন্ম দিন উপলক্ষে রাঙ্গামাটির সর্বস্তরের জনগন, বিভিন্ন পেশাজীবি ও রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও তার ভক্তবৃন্দ আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদের জন্ম দিনে ভালোবাসা স্বরূপ ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে ভীড় করে জেল রোডস্থ দৈনিক গিরিদর্পণ প্রধান কার্যালয়ে।
আলহাজ্ব একে এম মকছুদ আহমেদ এর ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে নিজ বাসভবনে বিকেলে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদে রাঙ্গামাটির সর্বস্তরের মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। এসময় তার জন্মদিনে তার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
সোমবার (১০ জুলাই) বিকেলে দৈনিক গিরিদর্পণ কার্যালয়ে এসে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সদস্যবৃন্দ, রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ফোরামের সদস্যবৃন্দ, অনলাই পাহাড়ের আলো ডট.কম নেতৃবৃন্দ। পরে রাঙ্গামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালক ও জেলা রোভার স্কাউটস্ এর সম্পাদক নুরুল আবছার, সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর মূখ্য সম্পাদক নির্মল বড়ুয়া মিলন, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগ ও ইমাম সমিতি পক্ষ থেকে ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা ক্বারী মোহাম্মদ ওসমান গণি, কাজী মজহারুল ইসলাম নঈমী, মাওঃ হাফেজ সওবতি আলি, হজরত আব্দুল ফকির মাজারের ইমাম আবুল কালাম হাশেমীসহ অগণিত প্রিয় মানুষগুলো দৈনিক গিরিদর্পণ কার্যালয়ে এসে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার গুরু, সাংবাদিকদের পথ প্রদর্শক, সাংবাদিকদের ইনষ্টিটিউট ও সংবাদপত্রের পথিকৃৎ এবং পার্বত্য অঞ্চলের সর্বপ্রথম প্রচারবহুল পত্রিকা সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক চারণ সাংবাদিক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদকে ভালোবাসা ও ফুলের শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া মোবাইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শত শত শুভানুদ্ধায়ীরা তাকে শুভেচ্ছা জানান এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ যে সময় পাহাড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্গমতা আর জীবনধারন ছিল দুর্বিসহ ব্যাপার ও খুবই কষ্টদায়ক। সেসময় পার্বত্য চট্টগ্রামে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা ছিল এক কল্পনাতীত বিলাসিতা মাত্র। আর সেই কঠিন সময়ে পাহাড়ে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার মত চ্যালেঞ্জিং পেশার বীজ বপন করেছিলেন এ কে এম মকছুদ আহমেদ। তাঁর সেই বৃক্ষটি আজ ডালপালা মেলে বিশালাকার মহিরুহে পরিনত হয়েছে। তিন জেলায় সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্রের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে এবং বর্তমানেও ঘটিয়ে চলছে। যতদিন পাহাড়ে সাংবাদিকতা থাকবে ততদিন তিনিই থাকবেন অগ্রপথিক হিসেবে।
আলহাজ্ব এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ এর কর্মময় জীবনে ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৬৯ইং সালের অক্টোবর পর্যন্ত অবিভক্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান কাউখালীর কলমপতির বেতছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লংগদু সোনাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বরকলের গোরস্থান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অত্যন্ত দক্ষতার সাথে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।
ঐ সময় তিনি প্রথমে কলমপতি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্টিত ছিলেন। ঐ সময় তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি, কাউখালীর কলমপতি, লংগদু, রামগড় এবং চট্টগ্রামের মীরসরাই, ও রাঙ্গুনিয়া, ফেনী, কুমিল্লার অন্তত পক্ষে দেড় হাজারেরও অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে নিয়োগ প্রদানে সহযোগিতা করে তাদের পরিবারের ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করেছেন এদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে চাকুরীরত আছেন এবং অনেকেই অবসর গ্রহণ করে সুন্দর জীবন যাপন করছেন।
বিশ্ব দরবারে লেখনির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। সাংবাদিকতার দীর্ঘ পথচলায় বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে পেয়েছেন সম্মাননা।
পাহাড়ের সংবাদপত্রের জনক, চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের সাংবাদিকতার ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। স্বাধীনতার আগে ১৯৬৯ সালের নভেম্বর মাসেই তিনি দৈনিক আজাদী পত্রিকার মাধ্যমে তার সাংবাদিকতা শুরু করেন। দীর্ঘ ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে, অনেকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, শতশত মৃত্যুর হুমকীকে তোয়াক্কা না করে এগিয়ে গেছেন পাহাড়ের মানুষের অভাব অভিযোগ তুলে ধরতে। পায়ে হেটে হেটে এই পাহাড় থেকে ঐ পাহাড়ে ছুটে ছুটে পাহাড়ের মানুষের কথা দেশবাসীকে জানিয়েছেন। এই মহান সাংবাদিকের পেশাকে তিনি নিজের করে নিয়ে একে একে প্রকাশ করেছেন সাপ্তাহিক বনভূমি ও পার্বত্য অঞ্চলের সর্বপ্রথমক দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পণ।
সংবাদপত্র জগতে তিনি পার্বত্য তিন জেলা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলের অসংখ্য বেকার যুবককে দৈনিক গিরিদর্পন ও সাপ্তাহিক বনভূমির মাধ্যমে সাংবাদিক বানিয়েছেন। অনেকে জন আজ স্বীকার করলেও অনেকে আজ বড় বড় পত্রিকার মালিক হয়ে এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে চিনেন না এবং পত্রিকার মালিক হয়ে এই চারণ সাংবাদিকের সাথে প্রতিযোগিতা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ কে এম মকছুদ আহমেদ তার সাংবাদিকতা জীবনে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের অভাব অভিযোগ গুলো যেমন তুলে ধরেছেন তেমনি অসংখ্য অসহায় মানুষের তিনি সুখে দুঃখে পাশে দাড়িয়েছেন। অসংখ্য শিক্ষার্থীকে তিনি বই সহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া চাকুরী দিয়েছেন বেশ কিছু শিক্ষিত বেকার যুবককে।
এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পিতার নাম মৃতঃ জামাল উল্লাহ, মাতার নাম জমিলা খাতুন। তিনি ১৯৪৫ সালের ১০ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলায় উত্তর মগাদিয়া পোষ্ট- মলিয়াইশ জন্ম গ্রহণ করেন।
বর্তমান ঠিকানাঃ- দৈনিক গিরিদর্পণ, জেল রোড, তবলছড়ি রাঙ্গামাটি। বাসাঃ- গুর্খা কটেজ, জেল রোড, রাঙ্গামাটি। ০৩৫১-৬১৬৩৩। মোবাইল-০১৮২০৩৩২১২০/ ০১৫৫০৬০৯৩৪২।