বন্যায় দূর্গত এলাকায় বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে খিচুরি বিতরণ

64

॥ আব্দুল গফুর সুবেল, বাঘাইছড়ি ॥
গত ৪ দিনের হালকা ও ভারী বৃষ্টিপাতে এবং পাহাড়ি ঢলে উপজেলা ও পৌরসভার প্লাবিত নিম্নাঞ্চল সমূহের পানি ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো প্রায় কয়েক হাজার মানুষ এই প্লাবনে পানি বন্দী রয়েছে। আর প্রায় ২১ শতাধিক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
বুধবার (৩ জুলাই) সকালে বন্যার পানিতে প্লাবিত সম্ভাব্য সকল স্থান পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের শান্তনা প্রদানসহ পৌর এলাকায় পানি বন্দী ও আশ্রিত বর্ন্যার্তদের মাঝে খিচুড়ি বিতরন করছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার, বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র জমির হোসেন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমান বাঘাইছড়ি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আলম ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পারভেজ আলীসহ সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলররা। ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝেও চেয়ারম্যান-মেম্বাররা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, এইচএসসি ও ডিগ্রী পরীক্ষা কেন্দ্র পানি বন্দী থাকায় পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে ভীষন সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাচালং সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম।
এবারের প্লাবনে কৃষকদের ফসলের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান এখনো জানা যায়নি। তবে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা গেছে। বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধ্বসের মাটি স্থানীয়রাসহ নেতৃবৃন্দ ও থানা পুলিশের সহযোগিতায় আংশিক সরানোর কারনে বন্ধ থাকা গাড়ী চলাচল শুরু হয়েছে।
সাজেক পর্যটন এলাকার মাচালং ও বাঘাইহাট সড়কের পানি কমে যাওয়ায় আটকাপড়া শতাধিক পর্যটক নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার বলেন, বন্যা পরিস্থিতি বর্তমানে উন্নতির দিকে আগুচ্ছে। বর্নাত্যদের সহযোগীতা ও সহায়তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন জায়গা বিশেষ চাল, শুকনা খাবার ও খিচুড়ি বিতরণ অব্যাহত রেখেছে।