রাঙ্গামাটিতে গুর্খা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সংস্কৃতি শিল্পীদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে সম্মাননা প্রদান

25

॥ লিটন শীল, নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
সংস্কৃতি হচ্ছে জীবনের দর্পণ। সংস্কৃতি প্রতিটি ব্যক্তি, জাতি ও দেশের প্রকৃত পরিচয় বহন করে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি গুর্খা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মঞ্জু রানী গুর্খা।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে রাঙ্গামাটি শহরের গুর্খা কটেজে গুর্খা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সংস্কৃতি শিল্পীদের উদ্যোগে আয়োজিত ফাউন্ডেশনের সকল কার্যক্রমকে বেগবান রাখতে বিশেষ অবদান রাখায় প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ৩ এপ্রিল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বিজু মেলায় অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে গুর্খা জাতির সংস্কৃতিকে উপস্থিত সকলের মাঝে ফুটিয়ে তুলে ধরার জন্য আমি ফাউন্ডেশনের সংস্কৃতি শিল্পীদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি ফাউন্ডেশনের শিল্পীদের উদ্দ্যেশে আরো বলেন, একদিনে বা হঠাৎ করে সংস্কৃতি গড়ে ওঠে না। আমাদের গুর্খা জাতির সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহু পুরনো ও সম্বৃদ্ধ। এই ঐতিহ্য তোমাদেরকেই ধরে রাখতে হবে। প্রতিদিন চর্চা ও সাধনার দ্বারা সংস্কৃতিকে আয়ত্ত করতে হবে তোমাদের। সারাবিশ্বে আমাদের সংস্কৃতির উপাদান ছড়িয়ে রয়েছে, সেগুলো সংগ্রহ করে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে তোমাদের। আর তা হলেই বহির্বিশ্বে আমাদের গুর্খা সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আরো বেশী ফুটে উঠবে।
পরে গুর্খা কল্যান ফাউন্ডেশনের সকল কার্যক্রমকে বেগবান রাখতে বিশেষ অবদান রাখায় প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মঞ্জু রানী গুর্খা ও সাধারণ সম্পাদক বরুন নেওয়ারকে মেডেল ও সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন, ফাউন্ডেশনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক পংকজ বাহাদুর গুর্খা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঙ্গল বাহাদুর ছেত্রী, প্রচার সম্পাদক মিল্টন বাহাদুর, দপ্তর সম্পাদক অপু শ্রীং লেপচা, গুর্খা কল্যান ফাউন্ডেশনের সদস্য লিটন শীল ছেত্রী, জনি বাহাদুর, মৃধাশ্রী গুর্খা, তন্নি গুর্খা’সহ অন্যান্য সদস্যরা।