নাইক্ষ্যংছড়ি সরকারি কলেজের শিক্ষকদের কোচিং-প্রাইভেট বন্ধের নির্দেশ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের

114

॥ শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি ॥
নাইক্ষ্যংছড়িতে মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় কোচিং-প্রাইভেট পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের অনৈতিক সহযোগিতা রোধে হাজী এম, এ কালাম সরকারি কলেজের শিক্ষকদের উদ্দেশ্য নোটিশ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোচিং-প্রাইভেট বন্ধ রাখার কঠোর নির্দেশনা জারি করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজী এমএ কালাম সরকারী কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ জাফর আলম।
তিনি জানান, অত্র কলেজে কিছু শিক্ষক কোচিং-প্রাইভেট নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহন করার পর অত্র কলেজের কিছু শিক্ষককে অনেক বার মৌখিক ভাবে কোচিং-প্রাইভেট বন্ধ রাখার কথা বল্লেও তারা অনায়াসে কোচিং-প্রাইভেট চালিয়ে যাচ্ছে। সেই কোচিং-প্রাইভেট পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ওসব শিক্ষক থেকে বিভিন্ন পরীক্ষার সময় অনৈতিক সহযোগিতা পেয়ে থাকে।
আমি বেশ কয়েকবার প্রত্যক্ষ করেছি। এতে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে। এসব অনৈতিক সহযোগিতা রোধ করার লক্ষ্যে এবং শিক্ষার মান অক্ষুন্ন রাখতে অত্র কলেজের শিক্ষকদের কোচিং-প্রাইভেট পড়ানোর বন্ধ রাখার জন্য এবং সরকারি বিধিমালা অনুসরন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।
আর এদিকে, গত ৩ মার্চ (রবিবার) কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ জাফর আলম এর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, কলেজের বিষয় সংশ্লিষ্ট সম্মানিত শিক্ষকদের অবগতির জন্য জানানো হয়েছে যে, কলেজ অবস্থিত এলাকায় সকাল ৬ ঘটিকা হতে কলেজ ছুটি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোন প্রাইভেট-কোচিং না করার জন্য নোটিশ করার সত্ত্বেও কলেজ প্রশাসনের আদেশকে অমান্য করে কিছু কিছু শিক্ষক গোয়ার্তুমি করে কোচিং-প্রাইভেট এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই ধরনের আচরণ সরকারি চাকুরী বিধি লঙ্গন। এই শিক্ষকগণ অতীতে বিভিন্ন সময় পরীক্ষা হলে প্রেইভেট-কোচিং পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অনৈতিক সহযোগিতা করে যা আমি বেশ কয়েকবার প্রত্যক্ষ করেছি। এই নোটিশ প্রকাশ করার পরও যদি তাদের কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায় তা হলে মা, উ, শি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, দীর্ঘ বছর ধরে কলেজের কিছু শিক্ষক কোচিং -প্রাইভেট চালিয়ে আসছিলো। এতে শিক্ষকেরা কলেজে এসে ক্লাস পাঠদানে অমনযোগী হয়ে পড়ছে। তার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও ক্লাসের পাঠদানে অমনোযোগী হয়ে পড়েছে। যা আমরা প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করে আসচ্ছি। কারন তাদের ক্লাসে পড়াগুলো কোচিং বা প্রাইভেটের সময় জেনে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমাদের সহপাঠি শিক্ষক হিসেবে এসব বিষয় নিয়ে ভালমন্দ কিছু বলতেও পারচ্ছি না।
আর এদিকে, কোচিং-প্রাইভেট পরিচালিত শিক্ষকদের পাঠদানের অমনোযোগী হওয়ার কারনে বাকী শিক্ষার্থীদের অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে। কোচিং-প্রাইভেট পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষাতেও বিভিন্ন কায়দায় অনৈতিক সহযোগিতাও পেতে যাচ্ছে। এতে কলেজের শিক্ষার মান ক্ষুন্ন হচ্ছে।