জুরাছড়ির পাহাড়ের চূড়া ও ঢালু জমিতে পানচাষে সাফল্য

36

॥ ছবি ও প্রতিবেদন- লিটন শীল ॥
রাঙ্গামাটির দূর্গম জুরাছড়ির পাহাড়ের চূড়া বা ঢালু জমিতে পাহাড়ী ছোট পানের বরজ (বাগান) এখন প্রায়ই দৃশ্যমান। এক সময় এসব পাহাড়ে কেবল জুম চাষ হলেও এখন জুমের পাশাপাশি পান চাষও করেছে প্রান্তিক চাষীরা। জুমে ধান, হলুদ, মারফা, মিষ্টি কুমড়ো, তিল, ভুট্টা, বরবটিসহ প্রায় ৪০ ধরনের সবজি উৎপাদিত হয়।
তবে জুমের সঙ্গে এবার পাহাড়ে চূড়া ও ঢালু জমিতে পান চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন করছে প্রান্তিক চাষীরা। পাহাড়ে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর পর পানের আবাদ শুরু করে বলে জানান সেখানকার চাষীরা। পান চাষীরা জানান, জুমের চেয়ে পান চাষে লাভ বেশি। অনেকে পান চাষ করছে। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে পান চাষীর সংখ্যা।
চাষীরা আরো জানান, আবাদের পর এই ছোট পাহাড়ী পান কমবেশী প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। বাজারে পাহাড়ী ছোট পানের দাম কেজি প্রতি ১৭০ টাকা থেকে ২শত টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। ভালো দাম পাওয়ায় পান চাষ করে অনেকে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছেন এখন।
জুরাছড়ির পানছড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ের চূড়া বা ঢালু জমিতের পানের বরজ দৃশ্যমান। ঢালু জমিতে নিজের চাষ করা বাগান থেকে নিয়তি বালা চাকমা তার দুই নাতনি জয়ন্তিকা ও মৈত্রিকা চাকমাকে সাথে নিয়ে পান সংগ্রহ করছে। এক সময় এসব পাহাড়ে কেবল জুম চাষ হলেও এখন জুমের পাশাপাশি প্রথমবাবের মতো পানচাষ করেছে চাষীরা। পাহাড়ে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর পর পানের আবাদ শুরু করেন চাষীরা।
এদিকে, পাহাড়ের চূড়া বা ঢালু জমিতে পানচাষকে নতুন সম্ভাবনা হিসেবে দেখছে কৃষি বিভাগ। পানচাষের কৌশল সম্পর্কে সঠিক ধারণা ও পান চাষে উদ্বুদ্ধু করছেন তারা। পান চাষের সঠিক ধারণা দিতে পারলে কৃষকরা আরো বেশী আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।