শিক্ষক দম্পতীর সখের কুল বাগান করে সফল, বার্ষিক আয় ৪ লক্ষ টাকা

80

॥ মো: সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥
খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলায় শিক্ষক দম্পতী সখের বসে কুল বাগান করে সফল বার্ষিক আয় ৪ লক্ষ টাকা।
দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী ইউয়িনের দক্ষিন হাচিসনপুর এলাকার কেজি স্কুলের শিক্ষক জেসমিন চৌধুরী পৈত্রিক সম্পত্তি সূত্রে পাওয়া ২ একর জমিতে সখের বসে কুল বাগান করে সফল হয়েছে। এখন তার কুল বাগান থেকে বছরের আয় প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। জেসমিন চৌধুরী কুলের রয়েছে ভারতের কাম্মীরি জাতের বল সুন্দরী কুল, আপেল কুল, নারকেলী কুল ও দেশী আগাম কুল। এছাড়াও রয়েছে বাগানের চারপাশে লেবু, পেয়ারা ও আম গাছ।
কুল বাগানে মালিক জেসমিন চৌধুরী বলেন, আমি আগে আমার এই ২একর জমি অন্য কাজে খাজনা দিতাম বছরচুক্তি তারা তামাক চাষ করত। তামাক চাষ মাটি ও স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। তাই আমি ও আমার স্ত্রী মিলে পরিকল্পনা করে ২০২২সালে ২একর জমিতে সাড়ে ৫শত কুলের চারা রোপন করি। স্কুল বন্ধের দিনে আমি আমার স্ত্রী মিলে বাগান পরির্চচায় সময় দেই। ২০২৩সালে কাম্মীরি জাতের বল সুন্দরী কুল, আপেল কুল, নারকেলী কুল ও দেশী আগাম কুল বেশ ভাল ফল হয়েছে। গতবছর প্রায় ৪লক্ষ টাকা উপরে ফল বিক্রি করি। এবছর ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে এখন কুল পাড়া শুরু করেছি। প্রতিকেজি ১শত৫০ থেকে ১শত ৮০টাকা করে বিক্রি করছি। আমার বাগানে নিয়মিত দুই জন শ্রমিক কাজ করে। সরকারি ভাবে পরামর্শ ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করলে আরো ভালো ফলন ফলানো যাবে। স্থানীয় বাজারের বিক্রয় করা পাশাপাশি বিপনন ব্যবস্থা থাকলে আরো বাড়িতি দামে বিক্রয় করা যেত। আমি মনে করি শিক্ষিত বেকারা নিজেরা উদ্যোক্তা হয়ে বিভিন্ন ফলের বাগান করলে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারবে আর এলাকার অনেকে কর্মস্থান তৈরি করতে পারবে।
জেসমিন চৌধুরী স্ত্রী সরাকরি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক মুন্না চাকমা বলেন, আমার স্বামীর সখের বসে কুল বাগানটি করা। আমিও কুল বাগানে স্কুল বন্ধে দিন বাগান পরিচর্চায় সময় দেই বেশ ভালো লাগের বাগানের ফল দেখে। অনেকে ফল দেখে মোবাইলে ফোন দিয়ে অর্ডার দেয় কুল নেয়ার জন্য।
বাগানের কর্মচারী তিলক চাকমা ও প্রবীন চাকমা নিয়মিত কাজ করেন। তারা দুই জনে বলেন, আমার আগে দিনমুজর কার করতাম বছরের অনেক সময় বসে থাকতাম কাজ থাকত না। এখন জেসমিন স্যারের বাগানে কর্মসংস্থান হয়েছে।
দীঘিনালা কৃষি কর্মকর্তা মো: শাহাদাত হোসেন বলেন, দীঘিনালা উপজেলার মাটি ফসল চাষের জন্য খুবই উর্বর। দীঘিনালা প্রচুর ফলের বাগান রয়েছে এসব বাগানের উৎপাদিত ফলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। দীঘিনালার প্রচুর ফল সমতলে পাইকারের নিয়ে যাচ্ছে এবং পর্যটকদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। দীঘিনালা উপজেলা এবছর প্রচুর বিদেশী জাতে কুল চাষ হয়েছে। কৃষি অফিসের মাধ্যমে ফল চাষের জন্য কৃষি উপ-সহকারিদের মাধ্যমে পরামর্শ দেয়া হয় এবং ফলের বাগানগুলো পরিদর্শন করা হয়।