নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় কাউখালীতে আঃলীগের ৩ কর্মীকে অস্ত্রের মূখে অপহরনের অভিযোগ

86

॥ কাউখালী প্রতিনিধি ॥
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই কাউখালীতে নৌকা প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে আওয়ামীলীগের ৩জন কর্মীকে অস্ত্রের মূখে অপহরন করেছে সশন্ত্র দৃর্বত্তরা।
সোমবার (৮ জানুয়ারী) দুপুরে কলমপতি ইউনিয়নের দুর্গম বড় আমছড়ি এলাকা থেকে তাদের অপহরন করা হয়। অপহৃতরা হলেন, চাখিয়াই মং মারমা (২২), পিতা রুইপা অং মারমা, বাদো মারমা (৩০), পিতা-চাথোয়াই অং মারমা ও চিংথোয়াই প্রু মারমা (২৫), পিতা সালাপ্রু মারমা। এরা সকলেই কলমপতি ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামলীলীগের সদস্য।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব চন্দ্র কর জানান, অপহরনের বিষয়টি শুনেছি তবে কেউ লিখিত বা মৌখিক কোন অভিযোগ করেনি। স্থানীয়দের ধারনা পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ অপহরনের এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, রবিবার সমাপ্ত হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মং মারমা (৩৫), বাদো মারমা (৩৩), ও চিংথোয়াই প্রু মারমা (৩৮) আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রাথী দীপংকর তালুকদারের পক্ষে এলাকায় কাজ করেছিলো। কিন্তু ঐ এলাকাটি পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ’র নিয়ন্ত্রনাধীন হওয়াতে ইউপিডিএফ’র কর্মীরা তাদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় বাঁধা প্রদান করে আসছিলো। কিন্ত তারা ইউপিডিএফ’র এসব কথায় কোন প্রকার কর্নপাত না করায় সোমবার দুপুরে তাদের অপহরন করা হয় একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে। এলাকাটি আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সন্দেহের তীরটা তাদের দিকেই।
কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও কলমপতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যাজাই মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহৃতদের উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার অনুষ্টিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইউপিডিএফ অধ্যুষিত কাউখালী উপজেলার তিনটি ভোট কেন্দ্র পানছড়ি, নাভাঙ্গা ও বার্মাছড়ি কেন্দ্রে কোন ভোট পড়েনি। ইউপিডিএফ এ নির্বাচন বর্জন করায় এসব এলাকায় ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে দেয়নি পার্বত্য চট্টগ্রামের বৃহৎ আঞ্চলিক এ সংগঠনটি।