॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
ইউপিডিএফ সংগঠনের ৪ নেতাকর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের ডাকে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ শান্তিপূর্ণ পালিত হয়েছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) অবরোধের সমর্থনে বিভিন্ন সড়কে পিকেটিং করছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা বিভিন্ন সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে এবং ৪ নেতার হত্যাকান্ডে ঘটনায় যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
এদিকে, অবরোধের কারণে খাগড়াছড়িতে আভ্যন্তরীণ দূরপাল্লা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো। শহরের অভ্যন্তরে কিছু সংখ্যাক টমটম ও অটোরিক্সা চলাচল করলেও সদর উপজেলার অন্যান্য সড়কগুলোতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। এছাড়া দীঘিনালা, পানছড়ি, মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, রামগড়, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায়ও দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল করেনি। তবে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। অবরোধের কারণে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
সংগঠনের ৪ নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের ডাকে দিনব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়েছে। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে মাসব্যাপী পানছড়ি বাজার বর্জন কর্মসূচি পালন করছে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ। ফলে পানছড়ি বাজারে আসছে না পাহাড়িরা।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইউপিডিএফের মুখপাত্র ও খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কনিকা দেওয়ান, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা যুক্ত বিবৃতিতে অবরোধ কর্মসূচি সফল করায় জেলার বাস, ট্রাকসহ সকল যানবাহন মালিক, চালক, শ্রমিক ও সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ, গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম সীমান্ত এলাকার পাহাড়ি জনপদ পুজগাং এর অনিলপাড়া এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয় ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা। এসময় সন্ত্রাসীরা আরো ৩ জনকে ধরে নিয়ে য়ায়। পরে অপহৃতদের উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।