॥ কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই ॥
কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে এখন ৪টি সচল রয়েছে। এই ৪টি ইউনিট থেকে বর্তমানে ১৬৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা হচ্ছে। তবে ২ নম্বর ইউনিটটি যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে। বন্ধ ইউনিটটি পুনরায় চালু করার জন্য কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছেন।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের সোমবার (৬ নভেম্বর) এই প্রতিনিধিকে বলেন, কাপ্তাই লেকে বর্তমানে ১০৮.৬০ মীন সি লেভেল পানি রয়েছে। রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী এখন লেকে পানি থাকার কথা ১০৯ ফুট মীন সি লেভেল। রুলকার্ভের চেয়ে লেকে সামান্য পরিমান পানি কম থাকলেও প্রতিদিন পানির লেভেল কমছে বলেও তিনি জানান। ব্যবস্থাপক বলেন নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে পানির লেভেল কমতে থাকে। তিনি জানান গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ নম্বর ইউনিটটিতে যান্ত্রিক ক্রুটি দেখা দিয়েছে। ক্রুটি সারানোর জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা কাজ করে যাচ্ছেন। ২ নম্বর ইউনিট সচল হলে কাপ্তাই থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্বশীল একটি সুত্র জানায় এবছর বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় কাপ্তাই লেক পানিতে পরিপূর্ণ ছিল। পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ রক্ষার স্বার্থে কয়েক দফায় স্পিলের ১৬টি গেইট পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। লেকে পানি পরিপূর্ণ থাকাকালিন সময়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটও পুরোদমে সচল ছিল। তখন দৈনিক ২৪০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়েছিল। সাধারণত নভেম্বর মাস থেকে বৃষ্টিপাত হয়না। সে কারণে এই সময় থেকে লেকের পানি হ্রাস পেতে থাকে। আর পানি স্বল্পতার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন যাতে একেবারে বন্ধ না হয় সে জন্য কর্তৃপক্ষ সীমিত সংখ্যক ইউনিট চালু রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল রাখেন।