পাহাড়ে পর্যটন শিল্পের বিকাশে প্রধান অন্তরায় অবৈধ অস্ত্র ও চাঁদাবাজী-দীপংকর তালুকদার এমপি

86

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পাহাড়ে পর্যটন শিল্পের বিকাশে প্রধান অন্তরায় অবৈধ অস্ত্র ও চাঁদাবাজী বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, তিনি বলেন, এ সমস্যার উত্তারণে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন হতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্থানীয় একটি হোটেলে রাঙ্গামাটি পর্যটন শিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেড এর আয়োজনে রাঙ্গামাটি পর্যটন শিল্পের সম্ভবনা ও উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি পর্যটন শিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, সমাজ সেবা কর্মকর্তা মৌসুমী ভট্টাচার্য্য, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খোকেনশ্বর ত্রিপুরা, দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক ও প্রবীণ সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কার্যকরী সদস্য ও সিএইচটি টুরিজম এন্ড কালচার রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোহাম্মদ সোলায়মান।
দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, জেলায় পর্যটকদের সংখ্যা বাড়াতে হলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। পর্যটকদের আকর্ষিত করতে পুরো শহর পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখতে হবে। হোটেল-মোটেলগুলোতে পর্যটক সেবার মান বাড়াতে হবে। তাহলেই রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই পর্যটন শিল্পের বিকাশের বিকল্প নেই। পর্যটন শিল্পের সমিতি আরো আগে প্রয়োজন ছিলো। তিনি নবগঠিত রাঙ্গামাটি পর্যটন শিল্প সবায় সমিতি লিমিটেড এর প্রতি প্রত্যাশা করে বলেন, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে এবং এ সেক্টরের সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারবে। এ সংগঠন ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জেলা পরিষদের পক্ষ হতে যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
অনুষ্ঠানের আগে শহরের কাঠালতলীস্থ হোটেল সুফিয়া সংলগ্ন সংগঠনের নতুন অফিস ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ।