॥ নানিয়ারচর প্রতিনিধি ॥
অবকাঠামো নির্মাণে বালু একটি অপরিহার্য সামগ্রী। দেশে যেহেতু বিভিন্ন স্থাপনা ও ভবনের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেহেতু আগামীতেও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীর পাশাপাশি বালুর ব্যবহার আরও বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক।
নির্মাণ সামগ্রীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে বালুতে তবে পরিকল্পনাহীন বালু উত্তোলনের রয়েছে নানা ক্ষতিকর প্রভাব। কাজেই পরিবেশের ক্ষতি না করে বালু উত্তোলনের পাশাপাশি কী করে এর ক্ষতিকর প্রভাব এড়ানো যায়, তা খুঁজে বের করতে হবে। রাঙ্গামাটি নানিয়ারচর চেঙ্গী নদীর তীর ঘেসে থেকে বেপরোয়া বালু উত্তোলনের কারণে ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়েছে বগাছড়ি, ইসলামপুর, বুড়িঘাট, নিচপুলিপাড়া কুকুরমারাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় জনসাধারণের প্রতিবাদ সত্ত্বেও কয়েকটি পয়েন্ট থেকে নানাভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। পাহাড়ি ছড়া থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকার কথা থাকলেও বিভিন্ন পয়েন্টে অব্যাহত রয়েছে বালু উত্তোলন। প্রতিদিন উত্তোলন করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বালু।
জানা গেছে, নানিয়ারচরে যখন যেখানে খুশি এ নদী বা ছড়ার বালু উঠাচ্ছেন অসাধু চক্রটি। এর ফলে পাহাড়ের তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে, বেশ কয়েকটি স্থান হুমকির মুখে রয়েছে। এলাকাবাসী মনে করছেন, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধ হলে হয়তো ভাঙনের তীব্রতা কিছুটা কমবে।
নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা জানান, নানিয়ারচরে অবৈধ বালু উত্তোলনের মাধ্যমে অসাধু চক্রটি ব্যাপকভাবে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এ অঞ্চলের ফসলি জমি ও নদীর তীরবর্তী জনগণ। নদীর ভাঙন রোধে সরকারকে আরো মনযোগী হতে হবে। এ অবস্থায় অপরিকল্পিত ও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারের আরো কঠোর হতে হবে।