॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
গত ২ দিন ধরে আবারো বৃষ্টি ও উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙ্গামাটির কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫টি ইউনিট সচল রয়েছে। এই ৫টি ইউনিট হতে সর্বমোট ২০০-২০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যা এবছর সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমান আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রুলকার্ভ অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদে এই মুহুর্তে ১০১ ফুট মীনস সি লেভেল (এমএসএল) লেভেল পানি থাকার কথা থাকলেও। হ্রদে পানি বেড়ে ১০৭.০৫ ফুট মীনস সী লেভেলে দাঁড়িয়েছে।
এ প্রকৌশলী আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মীন সি লেভেল। হ্রদে পানি ১০৯ ফুট মীন সি লেভেল না হওয়া পর্যন্ত পানি ছাড়া হবে না।
এদিকে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির কারণে রাঙ্গামাটি শহরের অনেক নিচু এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। বাড়ি ঘরে পানি ঢোকায় ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয়রা। বিপদ সীমা ছুই ছুই করছে কাপ্তাই বাঁধের পানি। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রিজার্ভ বাজার, আসামবস্তী, রাজদ্বীপ, পাবলিক হেল্থ, তবলছড়িসহ হ্রদ বেষ্টিত রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর। সড়কে পানি উঠায় যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয়রা। সবচেয়ে দূর্ভোগে শিক্ষার্থী ও যানবাহন চালকেরা।
উল্লেখ্য, জেলার কাপ্তাইয়ে অবস্থিত দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট হতে সর্বমোট ২৩০-২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। কাপ্তাইয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হ্রদের পানি না কমাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ। পরিকল্পিতভাবে কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিং না হওয়াতে হ্রদের ভিতরে পলি জমেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিং করা জরুরি বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।