॥ কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই ॥
রুলকার্ভ (পানির পরমিাপ) অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদে এখন (১১ সেপ্টেম্বর) ১০১.৩০ ফুট মীন সি লেভেল পানি থাকার কথা। কিন্তু হ্রদে এই মুহুর্তে পানি রয়েছে ১০৬.৫১ ফুট মীন সি লেভেল পানি। প্রয়োজনের তুলনায় ৫ ফুটেরও বেশি পানি রয়েছে কাপ্তাই হ্রদে। গত ১০ সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটিতে টানা প্রায় ৩ ঘন্টা ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এই বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদে প্রায় ৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পায় বলে সুত্রে জানা গেছে। তবে আর মাত্র এক ফুট পানি বাড়লেই কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়তে হবে বলে সংশি¬ষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধির কথা স্বীকার করেছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, গত শনিবার মধ্যরাত থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় পানি পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ৫ ফুটেরও বেশী পরিমান পানি রয়েছে কাপ্তাই হ্রদে। তবে কাপ্তাই হ্রদ থেকে এখণ পর্যন্ত পানি ছাড়ার কথা আপাতত ভাবা হচ্ছেনা। আর এক ফুট পানি বাড়লেই পানি ছাড়া হতে পারে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংশি¬স্ট একটি সুত্র মতে এবছর বৃষ্টির ধরণ বদলে গেছে। এবার ভরা বর্ষায় কাপ্তাইয়ে বৃষ্টি হয় নাই। যে সময় হ্রদ পানিতে টইটম্বুর থাকার কথা ছিল, তখন হ্রদ ছিল প্রায় পানি শুন্য। পানির অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় বন্ধ হবারও উপক্রম হয়েছিল। বর্ষার প্রায় শেষ প্রান্তে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তা থেকে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। লাগাতার ভারী বৃষ্টি চলে টানা ১৫ দিন। এর পর থেমে থেমে প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হয়। এখন ভারী বৃষ্টি হবার কথা না থাকলেও বৃষ্টি হচ্ছে।
তবে হ্রদে পানি বৃদ্ধি পেলেও কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো হয়নি বলেও ব্যবস্থাপক জানান। তিনি বলেন, গতকাল (১১ সেপ্টেম্বর) কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে মোট ১৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়েছে। তার মধ্যে ১ নাম্বার ইউনিট থেকে ৪৬, ২ নাম্বার ইউনিট থেকে ৪৬, ৩ নাম্বার ইউনিট থেকে ২৮, ৪ নাম্বার ইউনিট থেকে ৪০ এবং ৫ নাম্বার ইউনিট থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা হয় বলেও তিনি জানান।