॥ লিটন ভট্টাচায্য রানা, খাগড়াছড়ি ॥
খাগড়াছড়িতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৯তম জন্মোৎসব উদযাপন উদ্বোধন ও বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় লক্ষ্মী নারায়ন মন্দির প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান শুভ উদ্বোধন করেন, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
খাগড়াছড়ি জেলার শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ’র সহ-সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য্যের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোহতাশিম হায়দার চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’র সভাপতি সুদর্শন দত্ত প্রমুখ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। বাংলাদেশ একটি বহু ভাষা, বহু জাতি ও বহু ধর্মের দেশ। বঙ্গবন্ধুর কন্যার সৎ চিন্তার মাধ্যমে এদেশের সকল ধর্মের মানুষ আজ শান্তির সহাবস্থানে বসবাস করছে। নিজ নিজ ধর্ম উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যদিয়ে পালন করতে পারছে। তার সৎ চিন্তা, মহৎ উদ্যোগের কারণেই আজ আমরা সোনার বাংলাদেশ পেয়েছি। সকল ধর্ম যার যার মতাদর্শের মাধ্যমে পালন করতে পারছে। তাই দেশের শান্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আবির্ভাব বারবার হতে হবে। এতে করে বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
উল্লেখ্য, শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন দেবকি ও বাসুদেব এর সন্তান এবং হিন্দু ধর্মাম্বলীরা তার জন্মদিন জন্মাষ্টমী হিসেবে পালন করে। শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সময় চারদিকে অরাজকতা, নিপীড়ন, অত্যাচার চরম পর্যায়ে ছিল। সেই সময় মানুষের স্বাধীনতা বলে কিছু ছিল না। সর্বত্র ছিল অশুভ শক্তির বিস্তার। শ্রীকৃষ্ণের মামা কংস ছিলেন তার জীবনের শত্রু। মথুরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সাথে সাথে সেই রাতে তার বাবা বাসুদেব তাকে যমুনা নদী পার করে গোকুলে পালক মাতা পিতা যশোদা ও নন্দর কাছে রেখে আসেন।