মৃত্যুবার্ষিকীতে রাঙ্গামাটির আম্পায়ার নিপুনকে স্মরণ

124

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটি জেলা ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও ক্রীড়াবিদ কনৌজ চাকমা নিপুনের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ আগষ্ট) সকাল ১০টায় রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে এ স্মরণসভার আয়োজন করে রাঙ্গামাটি জেলা ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার এসোসিয়েশন।
রাঙ্গামাটি জেলা ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. হান্নানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন সোহেলের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি ডিস্ট্রিক্ট ফুটবল একাডেমীর পরিচালক ওয়াশিংটন চাকমা, সাবেক জাতীয় ফুটবলার কিংশুক চাকমা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম, কানিপ সদস্য রমজান আলী, জয়জিৎ খীসা নতুন, বেনু দত্ত, সাবেক খেলোয়াড় পথিকৃৎ রায় কোরক, পুলক বড়ুয়া, জেলা আম্পায়ার মো. মঈন উদ্দিন, রাজবাড়ী একাদশ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপংকর খীসা, আর্যদেব রয়্যাল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ তালুকদার, আমানতবাগ ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুল গফুর প্রমূখ। সভায় জেলার ক্রীড়া সংগঠক, খেলোয়াড়, ক্লাব কর্মকর্তা ও আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার এসোসিয়েশনের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণ সভায় বক্তারা কনৌজ চাকমা নিপুনের সাথে জড়িয়ে থাকা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আম্পায়ার ও ক্রীড়াবিদ কনৌজ চাকমা নিপুনের মৃত্যু ছিল অপ্রত্যাশিত। তার মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনের যে অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা গত এক বছরে প্রমান মিলেছে। তিনি ছিলেন একজন আপাদমস্তক ক্রীড়াবিদ, ভালো মানুষ ও নিরঅহংকারী চরিত্রের অধিকারী। সবধরণের খেলাতে তার যেমন স্বতর্স্পুর্ত অংশগ্রহণ ও সুনাম ছিল, তেমনি প্রতিটি মানুষের সাথে ছিল হৃদ্যতার সম্পর্ক। আমাদের সকলেরই তার পরিবারের খোঁজখবর রাখা ও পাশে দাঁড়ানো উচিত।
বক্তারা গুনী এই ক্রীড়াবিদ ও আম্পায়ারকে নিয়ে স্মরণ সভা আয়োজনের উদ্যোগ নেয়ায় জেলা ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার এসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এমন আয়োজন প্রশংসনীয় ও ক্রীড়াঙ্গণে নজির স্থাপন করবে।
২০২২ সালের ৩ আগষ্ট ভোর ৫টার দিকে রাঙ্গামাটি মারী স্টেডিয়াম সংলগ্ন হাসপাতাল সড়ক এলাকায় রাঙ্গামাটি জেলা ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও ক্রীড়াবিদ কনৌজ চাকমা নিপুন নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে মারা যান। তিনি একাধারে জেলা ফুটবল ও ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ছিলেন। এছাড়াও ব্যাডমিন্টন, হ্যান্ডবল, টেবিল টেনিস, ক্যারমসহ বিভিন্ন খেলাতে সমান পারদর্শী ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রীসহ এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।