পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের আস্তানা স্ব-মূলে ধ্বংস করা হবে-জোন কমান্ডার মোঃ সাব্বির হাসান

21

এস.কে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন, লামাঃ-পার্বত্য বান্দরবান জেলার সাবেক মহকুমা লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত ও পিছিয়ে পড়া জনপদ বনফুর এলাকার দূর্গম রাজাপাড়ায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে আলীকদম সেনা জোনর সহায়তায় একটি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। বিদ্যালয়টির নাম-জীনামেজু উচ্চ বিদ্যালয়।
রবিবার (২৮মে) বেলা সাড়ে ১২টার সময় বিদ্যালয়টি উদ্বোধন করেন (জীনামেজু উচ্চ বিদ্যালয়) আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মোঃ সাব্বির হাসান পিএসসি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা উঃ নন্দমালা মহাথেরু। তিনি উপজেলার ইয়াংছা এলাকায় অবস্থিত জীনামেজু অনাথ আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা।
জীনামেজু উচ্চ বিদ্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির হিসাবে উপস্থিত থেকে লে. কর্ণেল মোঃ সাব্বির হাসান পিএসসি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই মেধা ভিত্তিক প্রজন্ম। তাই সবাইকে শিক্ষায় মনোযোগী হতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ক্যাপ্টেন আজিজুল হাকিম, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নুরল হোসেন চৌধুরী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এম রূহুল আমিন, সাংগু মৌজার হেডম্যান চংপাত ম্রো, ইউপি সদস্য মং য়েগ্য মার্মা, আপ্রোসিং মার্মা ও বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বদরুল ইসালাম।
এ সময় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সন্ত্রাসীদের আস্তানা স্ব-মূলে ধ্বংস করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। লামা-আলীকদমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। নিশ্চত করা হয়েছে স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা।
জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সেনা সদস্যবৃন্দ নিরীহ পার্বত্য জনগোষ্ঠির নিরাপত্তা রক্ষায় তৎপর রয়েছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান আঞ্চলিক দলসমূহ হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি ইত্যাদি দুষ্কৃতিমূলক কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে পাহাড়ে নিরীহ সাধারণ মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে যা পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে। এ পরিস্থিতিতে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী বুকের রক্ত দিয়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা ও ভূখ-ের অখ-তা রক্ষা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য বদ্ধপরিকর।