কাপ্তাইয়ে সামুদ্রিক কাঁকড়া বেঁচে সংসার চালান মোতালেব

19

কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাইঃ-সামুদ্রিক কাঁকড়া বেচে সংসার চালান মোতালেব নামের এই ব্যক্তি। তিনি গত ৬ বছর ধরে বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার বা জনসমাগম হয় এমন স্থানে কাঁকড়া বিক্রি করে আসছেন। গতকাল তাঁর সাথে কথা হয় কাপ্তাই উপজেলা সদর বরইছড়িতে। তিন ধরনের কাঁকড়া বিক্রি করেন বলে মোতালেব জানান। বড় সাইজের কাঁকড়ার কেজি ২৬০ টাকা। মাঝারী সাইজের কাঁকড়া ২২০ এবং ছোট সাইজের কাঁকড়া ১৬০ টাকা।
মোতালেব চট্টগ্রামের মহেশখালী থেকে এই কাঁকড়া গুলো কিনে বাজারে বিক্রি করতে আনেন বলে জানান। কাঁকড়া বিক্রি করে তাঁর দৈনিক ৫ থেকে ৭শ টাকা আয় হয়। এই আয় দিয়েই তাঁর সংসার চলে। কারা কাঁকড়া খায় জানতে চাইলে মোতালেব বলেন, অনেক ধনী ব্যক্তি সখ করে কাঁকড়া খান। আবার অনেক দরিদ্র পরিবারের মানুষ কাঁকড়া খেয়ে থাকেন। বরইছড়ি বাজারে তিনি ছোট বড় মিলিয়ে ৮০ কেজি কাঁকড়া বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারলে প্রতি কেজি কাঁকড়া থেকে তাঁর প্রায় ৪০ টাকা মুনাফা হবে। বস্তায় রাখা তিন ধরনের কাঁকড়া তিন দিন আগে এনেছিলেন। এখনো সব গুলো কাঁকড়া জীবিত। এতদিন কিভাবে কাঁকড়া গুলো বেঁচে আছে জানতে চাইলে মোতালেব বলেন, এই কাঁকড়া পানিতে রাখলে মরে যাবে। সাগর, নদী ও পুকুরের পানিতে কাঁকড়া বেঁচে থাকলেও বস্তায় রাখা কাঁকড়া গুলোকে যদি কলের পানিতে রাখা হয় তাহলে সেগুলো খুব তাড়াতাড়ি মরে যাবে। তবে বস্তার উপর মাঝে মাঝে পানির ছিটকা দিলে কাঁকড়া ১৫ থেকে দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকবে বলে তিনি জানান। অনেক নামী দামী রেষ্টুরেন্টে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরিবেশনের জন্য তাঁর কাছ থেকে কাঁকড়া কিনে নেওয়া হয় বলেও মোতালেব জানান।