কাপ্তাই হ্রদের ফোরের মুখ, লংগদু, বাঘাইছড়ি, সুভলং, ঠেগামুখ, জুরাছড়ি, বুড়িঘাট-নানিয়ারচর, বিলাইছড়ি নদীতে জরুরী ভিত্তিতে ড্রেজিং জরুরী

177

আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদঃ-১৯৬০ সালে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য বাধ দেয়ার ফলে রাঙ্গামাটি জেলার অধিকাংশ এলাকায় কৃত্রিম হ্রদের সৃস্টি হয়। ফলে জনজীবনে দূর্ভোগ ও জীবনধারা বদলের যায়। ১৯৬০ সালে হতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৬৩ বছর যাবত এ কৃত্রিম হ্রদ, পলি জমে ভরাট হয়ে যায়। ফলে ১৯৬০ সালের পর যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিলো তা পুনরায় বদলে যায়। সৃষ্টি হয় নতুন নতুন সমস্যার।
এসব কিছু থেকে রেহাই পেতে একমাত্র উপায় ড্রেজিং করায়। গত ২০/৩০ বছর যাবত হ্রদের ড্রেজিং এর দাবী উঠার পর সরকারী ভাবে ড্রেজিং এর ব্যবস্থা করার কথা বলা হলেও এ পর্যন্ত কোন উদ্যোগে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বেসরকারী ভাবে কাপ্তাই হ্রদ প্রজা কল্যান সমিতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের মাধ্যমে ড্রেজিং এর জন্য একটি প্রাইভেট কোম্পানীকে দায়িত্ব দেয়ার পরও তা কার্য্যকর হয়নি। ১৫ লাখ টাকা জামানত দিয়েছিলো। সে টাকাও ফেরত দেয়া হয়নি।
মন্ত্রী, সংসদ, আমলারা বিভিন্ন সময়ে বক্তৃতাকালে ঘোষণা দিয়ে আসছেন হ্রদে ড্রেজিং এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু কার্যত বক্তৃতায় থেকে যাচ্ছে। কোন কিছু চোখে পড়ছে না। জরুরী ভিত্তিতে হ্রদে ড্রেজিং করা না গেলে সকল প্রকার নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়বে। অন্যদিকে মাছ উৎপাদন বন্ধ হয়ে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে জাতীয় গ্রীড থেকে রাঙ্গামাটি জেলায় ১৫ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ পায়। ফলে রেশনিং করতে গিয়ে কোন কাজে লাগবে না। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিদ্যুৎ থেকে পাবৃত্যবাসী বঞ্চিত।
অতএব, সব অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দিয়ে জরুরী ভিত্তিতে নি¤েœাক্ত নদীতে ড্রেজিং করুন। এর মধ্যে রয়েছে কাপ্তাই হ্রদের ফোরের মুখ, লংগদু, বাঘাইছড়ি, সুভলং, ঠেগামুখ, জুরাছড়ি, বুড়িঘাট-নানিয়ারচর, বিলাইছড়ি নদীতে ড্রেজিং করুন। তবে উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে নয়।