রাঙ্গামাটিতে এসএসসি শতাধিক পরিক্ষার্থীদের মাঝে পিসিসিপি শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

153

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙ্গামাটি পৌর কমিটির উদ্যােগে এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রাঙ্গমাটি শহরের কাঠালতলী এলাকাস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট হল রুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্বে করেন, পিসিসিপি রাঙ্গামাটি পৌর কমিটির সভাপতি পারভেজ মোশারফ হোসেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি মোঃ হাবীব আজম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম, পৌর কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ রিয়াজ, পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে স্মরণাতিতকাল যাবত বসবাসরত বাঙালি জনগোষ্ঠী শিক্ষা ক্ষেত্রে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। আবহমানকাল ধরে বাঙালিদের প্রতি উদাসীনতা, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের বৈরীতা, চরম শিক্ষা বৈষম্য, অসহনীয় দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত বাঙালিরা উঠে আসতে পারছে না। অপরদিকে শিক্ষা সম্প্রসারণে সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি পাহাড়ীরা। তাদের জন্য কোটা ব্যবস্থা চালু আছে এবং চাকুরী কর্মসংস্থান সৃষ্টির সকল পথ উন্মুক্ত করা হয়েছে। ফলে সব দিক থেকে উঠে আসছে শুধুমাত্র উপজাতীয়রা। মূল স্রোতধারার অধিবাসীদের পেছনে ফেলে বাংলাদেশ তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের অভিবাসী পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর এরূপ এগিয়ে যাওয়ার নজীর বিশ্বে বিরল।
বক্তারা আরো বলেন, পাহাড়ী জনগোষ্ঠির জন্য চাকুরী ও উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছিল তা অব্যাহত রাখা হয়েছে। অথচ বাঙালিদের জন্য এইরকম কোন বিশেষ সুযোগ সুবিধা রাখা হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সব বাঙালি বসবাস করে তাদের শতকরা ৯৫ ভাগ রয়েছে দারিদ্র সীমার নীচে। লেখাপড়ার ক্ষেত্রে বাঙালিরাই সবচেয়ে বেশি অনগ্রসর। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীদের স্বাক্ষরতার হার ৮৭% আর বাঙালিদের স্বাক্ষরতার হার ২৭%।
তাই পাহাড়ে বাঙালিদের সাথে সকল বৈষম্য দূর করে সকল ক্ষেত্রে সাংবিধানিকভাবে সমান অধিকার দেওয়ার দাবি জানান বক্তারা।
আলোচনা সভা শেষে এক শতাধিক পরিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।