হারাধন কর্মকার, রাজস্থলীঃ-রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ও বান্দরবান ঐতিহ্য সড়কে বাস সার্ভিস বন্ধের পথে। এতে করে অধিক মুল্যে সিএনজি ও মোটরসাইকেল যোগে বান্দরবান সদর যাতায়াত ছাড়া নিরুপায় হয়ে পরবে পথচারীরা। সেই দীর্ঘ বছর ধরে বান্দরবান ও বাঙ্গালহালিয়া সড়কে ১২টি যাত্রীবাহী বাস চলাচল করতো। বর্তমান ৭টি যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে। প্রতি ঘন্টা পরপর বাঙ্গালহালিয়া বাজার ষ্টেশন ও বান্দরবান রোয়াংছড়ি ষ্টেশন যাত্রীবাহী বাসগুলো ছাড়তো। মহামারী করোনার পড় থেকে বড় গাড়ির যাত্রী না হওয়াতে এমন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন পথচারিরা।
পূবালী বাসের চালক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, আমাদের যাত্রীবাহী বাসে ৪০ জন যাত্রীর সিট রয়েছে। এক ঘন্টা ধরে বসে থাকলে ৮-১০জনের অধিক যাত্রী হয় না। একজন যাত্রী থেকে ৭৫ টাকা করে ভাড়া নিয়ে থাকেন তারা। আর সিএনজি ভাড়া নেয় একশত টাকা করে। ৪-৫ জন হলে সিএনজি চলে যায়। অধিকাংশ যাত্রী সিএনজি ও মোটরসাইকেল যোগে চলে যায়। যেখানে বাঙ্গালহালিয়া ও বান্দরবান সড়কে দৈনিক ১০-১১টি বাস গাড়ি আশা যাওয়া করতো। বর্তমানে দুই/তিনটি গাড়ি আশা যাওয়া করেন। তাতে করে অনেক সময় লোকসান গুনতে হয়। অন্যদিকে বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির গাড়িগুলো নিয়মিত চলছে।
বাঙ্গালহালিয়া বাজারে বান্দরবান সড়কের লাইসম্যান ইসহাক তালুকদার বলেন, বাঙ্গালহালিয়া ও বান্দরবান সড়কের চলাচল বাস মালিক ও ড্রাইভার হেলপারগুলো চরম দুর্ভোগ দীর্ঘ দিন ধরে পোহাতে হচ্ছে। বাঙ্গালহালিয়া বান্দরবান সড়কে মিনি বাস সার্ভিস (ছোট গাড়ি) চালু করা না হলে বড় গাড়ির যাত্রীগুলো বসে থাকেনা। তাই বড় বাস গাড়িগুলো সিট মাফিক যাত্রী হতে না হতেই ৪-৫জন মিলে সিএনজিতে করে চলে যাচ্ছে। তবে বিষয়টি বান্দরবান পূবালী মোটর মালিক সমিতিকে একাধিক বার বলা হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি বাসের মালিক ইতিমধ্যে গাড়ি বিক্রি করে ফেলেছে। তাই বান্দরবান ও বাঙ্গালহালিয়া সড়কে বাস সার্ভিসের লাইন ধরে রাখতে ছোট ছোট বাস সার্ভিস চালু করার প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে বাঙ্গালহালিয়া ও বান্দরবান ঐতিহ্য সড়কের চলাচল পথচারীরা বিষয়টি নজরে নিতে রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলা প্রশাসক, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান পুলিশ সুপার ও বান্দরবান পূবালী মোটর মালিক সমিতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।