জনসাধারণের কল্যাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন-দীপংকর তালুকদার এমপি

42

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের আওতায় রাঙ্গামাটি জেলার ৪৩৯ উপকারভোগী পরিবারের মাঝে নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (২২ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন ঘর হস্তান্তর উদ্বোধনের পর সকাল সাড়ে ১১টায় জেলার জিমনেসিয়াম হলে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলাধীন বিভিন্ন ইউনিয়নের ৮৩টি এবং জেলার অন্যান্য উপজেলায় একযোগে সর্বমোট ৪৩৯ পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়।
রাঙ্গামাটি জিমনেসিয়াম হলরুমে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের নতুন ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙ্গামাটি সংসদ ও সদস্য খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙ্গামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিনসহ জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি সংসদ ও সদস্য খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, সংবিধানের প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের মধ্যে বাসস্থান অন্যতম। এ বাসস্থান দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা চাচ্ছেন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে যেন মানুষগুলো সামনে এগিয়ে যেতে দারিদ্র্য নিরসন হতে পারে। সে লক্ষ্য রেখে জনসাধারণের কল্যাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন।
এসময় ইউপি চেয়ারম্যানদের উদ্দশ্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ঘর নির্মাণে ভবিষ্যতেও গুণগত মানের ক্ষেত্রে কোন প্রকার আপোষ করবেন না। প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য এলাকার জন্য বিশেষ একটি ঘর ডিজাইন করেছেন সেটি মাচাং ঘর। ভৌগলিক কারণে পার্বত্য এলাকায় পানির সমস্যা ও কেরিং খরচ বেশি। সেই সমস্যাগুলো দূরীকরণে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের মাচাং ঘর নির্মাণের পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসক।
রাঙ্গামাটিতে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়ে সর্বমোট ১হাজার ৯১৬টি নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।