থানচিতে গৃহহীন মুক্ত উপজেলা গড়তে ক্লান্তিহীন কাজ করছি প্রশাসন

34

থানচি প্রতিনিধিঃ-বান্দরবানের থানচি উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত উপজেলা পরিনত করার লক্ষ্যে প্রধান মন্ত্রী নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন ক্লান্তিহীণ কাজ করে যাচ্ছি। অচিরে বাস্তবায়ন করার তাগিদ রয়েছে। জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় সুশিল সমাজ সাংবাদিকসহ সকল স্তরে মানুষের সহযোগীতা পেলে সে লক্ষ্যে পৌছতে পারবো। আগামি ২২ মার্চ বুধবার সকাল ১০ টা থানচি উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীন ৫২ পরিবারকে নির্মিত মাচাং ঘরসহ ঘরের চাবি হস্তান্ত করা হবে সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহা: আবুল মনসুর স্থানীয় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
“আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার” এ শ্লোগানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় বান্দরবানে থানচি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন ৩৩৯টি পরিবারকে পূনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ১ম পর্যায়ে ৩৪টি, ২য় পর্যায়ে ২৫০টি, তৃতীয় পর্যায়ে ১০টি, এছাড়াও থানচি থানা পুলিশের ব্যবস্থাপনায ২টি গৃহহীন পরিবারকে ২ (দুই) শতাংশ জমিসহ পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের অসমাপ্ত পাকাঘর ৭টিসহ বর্তমান ৪র্থ পর্যায়ের ৪৫টি পাহাড়ে ক্ষুদ্র-নৃগৌষ্ঠিদের বসবাসকৃত মাচাংঘর সহ মোট ৫২টি মাচাংঘরের ভূমি দলিলসহ ঘরের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠান একযোগে আগামী ২২ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও ভার্চুয়াল সংযোগের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সূজন মিঞা জানান, দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা বাস্তবায়নে উপজেলায় ২(দুই) শতাংশ করে খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারকে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে সমবায়ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে চলছে রেজিস্ট্রেশনের কাজ। আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সুপেয় খাবার পানি ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ/বিদ্যুৎবিহীনদের সোলার সিষ্টেম সরবরাহের ব্যবস্থা করা পরিকল্পনা রয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে একক গৃহ নির্মাণ ও পরিকল্পনা সংক্রান্ত প্রকল্পের নিয়ম নিতি অনুসারে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহা: আবুল মনসুর সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে ইউএনও কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলন করেন, সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, জাতির পিতা স্বপ্ন দেখতেন সোনার বাংলার প্রতিটি মানুষ খুঁজে পাবে নিরাপদ আশ্রয়। আশ্রয়ণ প্রকল্প যেন সেই নিরাপদ আশ্রয়ের চুড়ান্ত রূপ। সারা দেশের মতো অত্র উপজেলা ৩৩৯ পরিবার পাহাড়ী ডিজাইনের মাচাংঘরসহ হস্তান্ত করা হবে।