নাইক্ষ্যংছড়িতে ৩য় পর্যায়ে অবশিষ্ট ও ৪র্থ পর্যায়ে নির্ধারিত জমি ও গৃহ হস্তান্তর উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

45

শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়িঃ-বাংলাদেশের একজন মানুষ গৃহহীন থাকবে না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ২২ মার্চ বুধবার সারাদেশে এক যুগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৩য় পর্যায়ের অবশিষ্ট ও ৪র্থ পর্যায়ের নির্ধারিত গৃহসমূহ উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মার অফিস কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা বলেন, “নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় সর্বশেষ মাঠ জরিপ অনুযায়ী বর্তমানে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার সংখ্যা ৬৮৭ জন। ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে ২০৯টি পরিবার।
চলমান ৪র্থ পর্যায়ে ২য় কিস্তিতে ইতিমধ্যে ৫০টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। তাদেরকে আগামী ২২ মার্চ আনুষ্ঠানিক ভাবে সনদ বিতরণ করা হবে। এতে পার্বত্য অঞ্চলের জন্য বিশেষ ডিজাইনের মাচাং ঘর ১৫টি এবং সেমি পাকা ৩৫টি ঘর রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৪র্থ পর্যায়ে ২য় কিস্তিতে পাওয়া আরও ৬০টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। তন্মধ্যে ২৫টি মাচাং ঘর ও ৩৫টি সেমি পাকা ঘর রয়েছে।
১ম থেকে ৪র্থ পর্যায়ের সর্বমোট ২৫৯ টি ঘরের মধ্যে সোনাইছড়ি ইউনিয়নে ৫৭টি ঘুমধুম ইউনিয়নে ৭৮টি বাইশারী ইউনিয়নে ৫২টি দোছড়ি ইউনিয়নে ২৯টি এবং সদর ইউনিয়নে ৩৩টি ঘর প্রদান করা হয়েছে।
চলমান ঘরের মধ্যে সোনাইছড়ি ইউনিয়নে মাচাং ঘর ৭টি সেমি পাকা গৃহ ৫টি সদর ইউনিয়নে ১১টি সেমি পাকা ঘর দোছড়ি ইউনিয়নে ১২টি মাচাং ঘর ৩টি সেমি পাকা বাইশারী ইউনিয়নে ৬টি মাচাং ঘর ও ৫টি সেমি পাকা ঘর।
ঘুমধুম ইউনিয়নে ১১টি সেমি পাকা ঘরসহ সর্বমোট ৬০টি পরিবার ঘর ও জমি উপহার পাবেন। এই কর্মযজ্ঞকে সফল করতে উপজেলা প্রশাসনের সাথে সরাসরি কাজ করছেন সম্মানিত উপজেলা চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিগণ। তিনি আগামী ২২ মার্চ বুধবার শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সকাল ৯টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সকলের উপস্থিতি কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিযয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।