সকল সম্প্রদায়ের সহাবস্থানের মধ্যদিয়ে অসাম্প্রদায়িক পার্বত্য অঞ্চল রুপান্তর হয়েছে-পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি

134

রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ-পার্বত্য অঞ্চল সকল সম্প্রদায়ের সহাবস্থানের মধ্যদিয়ে অসাম্প্রদায়িক অঞ্চলে রুপান্তর হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। তিনি বলেন পাহাড়ের শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনায় প্রতিটি ধর্মের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এই ধর্মের মধ্যে সকল মনে সম্প্রীতি মৈত্রী ভাব উদয় হবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন পার্বত্য মন্ত্রী।
শুক্রবার (৩ মার্চ) রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়ায় জ্যোতিশ্বর বেদান্ত শংকর মঠ ও মিশনে শ্রী শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের ১১৪ তম শুভ আবির্ভাব এবং জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের ২৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী অভেদানন্দ মহারাজ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন, চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড শংকর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ পরম পুজ্যপাদ শ্রী শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা, জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের উপদেষ্টা ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্ট্রী আমল কান্তি দাস, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষির চাকমা, রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইউএনও শান্তনু কুমার দাশ, কাপ্তাই সার্কেল রোশনারা রফ, বাঙ্গালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা, গাইন্দ্যা ইউপি চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা, ঘিলাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবার্ট ত্রিপুরা, হেডম্যান ক্যসুইথুই মারমাসহ দেশের বিভিন্ন মঠ আশ্রমের সাধু সন্ন্যাসী মহাত্মা মহারাজবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন, লালন সম্রাট ভজন ক্ষেপা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। তিনি আরো বলেন বর্তমান সরকারের আমলে সারাদেশে ন্যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রতিটি পাড়ায় বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় দৃষ্টি নন্দন উপাসনালয় গুলো নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে। যা অতীতে কোনো সরকারের আমলে এতো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মিত হয়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ১কোটি ২০লক্ষ টাকায় নির্মিত জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের নতুন ভবন ও উদ্বোধন ও ৭০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে আশ্রমে যাতায়াত কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।