শান্তির বানী প্রচারের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে-নিখিল কুমার চাকমা

52

মোঃ আজগর আলী খান, হারাধন কর্মকার, রাজস্থলীঃ-পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেছেন, শান্তির বাণী প্রচারের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সকলের ধর্মের বাণী হচ্ছে শান্তির কথা বলা। মানুষে মানুষে হানাহানি আর প্রতিহিংসায় কখনো শান্তি সুবাতাস স্থাপন হয় না। দেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মঙ্গলের কল্যানে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করছে।
রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া শ্রী শ্রী সনাতন ঋষি আশ্রমের ৩৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিন ব্যাপি শ্রী শ্রী বিশ্ব শান্তি গীতাযঞ্জ, সনাতন গায়ত্রী যজ্ঞ সনাতন ঋষি আশ্রমে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হয় সনাতন দীক্ষা দান, ভজন সংগীতা সহ বিশ্বশান্তি শ্রী শ্রী সনাতন ব্রক্ষ্ম গায়ত্রী মহাযঞ্জ শেষ মহতী সনাতন ধর্মসভায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সনাতন ঋষি আশ্রমে অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী সনাতন ঋষি মহারাজের সভাপতিত্বে আয়োজিত সনাতন ধর্ম মহাসম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষার চাকমা, ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী, উত্তম কুমার শর্মা, অদুল কান্তি চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা, কুষ্টিয়া একাডেমী লালন ভজন ক্ষেপা, প্রভাষক রুপন ধর, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাখাল চন্দ্র দাস, বিশ্বনাথ চৌধুরী, সুরেস চন্দ্র নাথ, শম্ভু চন্দ্র নাথ, উপজেলা আওয়ামী লীগের, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য থোয়াইচিমং মারমা, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মউচিং মারমা, উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুজিত কর টিপু, দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন দত্ত, উৎসব পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজন ঘোষ, পুলক সাহা, নয়ন চৌধুরীসহ সাধু সন্নাসীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, উৎসব উদযাপন পরিষদ, জাগো হিন্দু পরিষদ, রাঙ্গুনিয়া, রাজস্থলী উপজেলা শাখাও ইউনিয়ন শাখার নেতৃবৃন্দ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা আরো বলেন, রাঙ্গামাটি জেলার সকল উপজেলার মধ্যে যে কোন ধর্মীয় উৎসব সকলের মাঝে সম্প্রীতি বন্ধনে আবদ্ধ। দেশের কোথাও এ রকম শান্তি শৃঙ্খলা মধ্যদিয়ে কোন উৎসব পালিত হয় কিনা আমাদের জানা নেই। এটা বাংলাদেশের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বর্তমানে উপজেলা জুড়ে আনন্দঘন পরিবেশে যে উৎসবগুলো পালন করে আসছে তা শুধু বাঙালী হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য নয়, এটি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনায় জাতীয় ঐক্যের একটি মহা মিলনোৎসব।
উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা আশ্রমে নির্মিত মন্দিরের কাজ সম্পন্ন করে দিবেন এবং একটি ছাত্রাবাস নির্মাণের আশ্বাস প্রদান করেন।