দীঘিনালায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৪ পরিবার নিঃস্ব, ক্ষয়ক্ষতি প্রায় কোটি টাকা

50

মো. সোহেল রানা, দীঘিনালাঃ-খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় অগ্নিকান্ডে ১৪পরিবারের বসতঘর ভষ্মিভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) ভোররাতে উপজেলার পশ্চিম থানা পাড়া গ্রামে সর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাত প্রায় আড়াইটায় বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। এসময় মুহুর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় পাশাপাশি লাগোয়া বসতঘর থাকায় চৌদ্দ পরিবারের বসতঘর, আসবাবপত্র গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদিসহ দুইটি ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এদিকে ঘটনার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয় ধারণা করা হয়েছে।
এব্যাপারে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ রুমা বেগম (৪২) জানান, ঘুম থেকে হঠাৎ আগুন শব্দ শুনি। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখার কারণে কোন কিছুই ঘর থেকে বের করতে পারিনি। তিনি আরো জানান, এক সপ্তাহ আগেই দুই লক্ষ টাকা সিলভারের হাড়িপাতিল কিনে আনে আমার স্বামী। সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ সিলভার হাড়িপাতিল ব্যবসায়ি মো বারেক বলেন, গভীর ঘুমে ঘুমিয়ে ছিলাম হঠাৎ আগুন আগুন চিৎকার শুনি দৌড়ে বাহিরে আসি, আমার ঘর থেকে কিছু বাহির করতে পারি নাই, গত পরশুদিন আড়াই লাখ টাকা সিলভারের মালামাল এনে ঘরে রেখেছিলাম।
ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাশেম এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে ইমামা বানিন, জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ জসিম উদ্দীন।
ঘটনার পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবার প্রতি সাড়ে সাত হাজার করে টাকা, ১২ পরিবারকে একবান করে ঢেউ টিন, ত্রিশ কেজি হারে চাল এবং দুটি করে কম্বল বিতরণ করা হয়।
এছাড়া দীঘিনালা কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে ১৬ বান ঢেউ টিন, কাশেম এন্ড ব্রাদার্স এর পক্ষ থেকে (পরিবার প্রতি) পাঁচ হাজার করে টাকা, এবং বোয়ালখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তফার ব্যক্তিগত পক্ষ হতে পাঁচ হাজার টাকা (পরিবার প্রতি) প্রদান করা হয়।
দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরের নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। এতে ভাড়াটিয়াসহ চৌদ্দ পরিবারের বসতঘর ভষ্মিভূত হয়ে যায়।