রাঙ্গামাটিতে রাতে স’মিলে গোল কাঠের স্তুপে সন্ত্রাসীদের আগুন ও গুলি বর্ষন

40

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-আঞ্চলিক রাজনৈতিক সশস্ত্র সংগঠনের তৎপরতায় আবারো বন্ধ হওয়ার উপক্রম রাঙ্গামাটির কাঠ ব্যবসা। বুধবার (২৫ জানুয়ারী) ১২ ঘন্টার ব্যবধানে দুই দাফ গুলি ও অগ্নিসংযোগে ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। ২৫ জানুয়ারী দুপুরে ট্রাকে আগুন দেয়ার পর সন্ত্রাসীরা গত মধ্য রাত সোয়া ১২ টায় রাজবাড়ী স’মিলে বিশাল গোল কাঠের স্তুপে পেট্টোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ফাকা গুলি করে আতংক ছড়ায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও যৌথ বাহিনীর উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
রাজবাড়ী স’মিলের নিরাপত্তা প্রহরী আবুল কাশেম জানান, রাত ১২টার দিকে দুই যুবক স’মিলের উপরে এসে তাদের বোটটি নষ্ট হয়ে গেছে এবং মিস্ত্রি খোঁজে। পরে আরো এক যুবক অস্ত্র নিয়ে এসে নিরাপত্তা প্রহরী আবুল কাশেমের বুকে তাক করে। অন্য যুবকরা এসময় এক রাউন্ড গুলি ছুড়ে এবং পেট্টোল ঢেলে দিয়ে স্তুপ করে রাখা গোল কাঠে আগুণ ধরিয়ে দেয়। সুযোগ পেয়ে নিরাপত্তা প্রহরী আবুল কালামসহ অন্যরা দৌড়ে রাস্তায় চলে আসে।
এদিকে স’মিলে দাউ দাউ করে আগুন জ¦লতে দেখে স্থানীয়রা দমকল বাহিনী, পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে কোতয়ালী থানা পুলিশের একটি দল, সদর সেনা জোনের দুইটি টহল দল ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানার এসআই নয়ন জানান খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি দেখতে পায় এবং ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টির তথ্য জানাতে পারবে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, রাতের বেলায় অনেক ইঞ্জিন বোট আসে স মিলে আমরা মনে করেছিলাম হয়তো কেউ গাছ নিয়ে এসেছে। পরে তারা এসে গুলি করে গাছে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের শোরগোলে সন্ত্রাসীরা বোট চালিয়ে বন্দুকভাঙ্গার দিকে চলে যায়। সমিলের নিরাপত্তা প্রহরীরা জানিয়েছেন, গায়ে কম্বল মুড়ানো অবস্থায় উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা উপড়ে উঠেছিলো।
এদিকে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাঙ্গামাটি থেকে একটি কাঠ পরিবহন ট্রাক ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে দেপ্পোছড়ি এলাকার রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ট্রাকটিকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এতে ট্রাকটির আংশিক কিছু ক্ষতি হলেও চালক এবং কাঠ পরিবহনের একজন নিজস্ব লোক অক্ষত রয়েছে। ঘটনার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলটি প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ মূল দলের এলাকা বলে এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে।