কাপ্তাইকে নান্দনিকতায় ভরে তুলতে নির্মিত হলো “সুরূপা কাপ্তাই”

75

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাইঃ-নিরন্তর নিঃস্বর্গের অপরূপ সম্মিলনের জনপদ হিসেবে খ্যাত কাপ্তাই। যেখানে পাহাড়, নদী, মিলেমিশে একাকার হয়েছে। প্রকৃতির এই মেলবন্ধনের অপরূপ কাপ্তাইয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। আর এসকল দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে এইবার কাপ্তাইয়ে নির্মিত হলো “সুরূপা কাপ্তাই”।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে বড়ইছড়ি সদরের উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে এই সুরূপা কাপ্তাই স্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে।
সুরূপা কাপ্তাই এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এই স্তম্ভের মাধ্যমে যেকেউ একনজরে তাকিয়ে কাপ্তাইয়ের মানচিত্র সহ পুরো উপজেলা সম্পর্কে ধারণা গ্রহন করতে পারবে। মহকুমা থেকে উপজেলা হিসেবে কাপ্তাইয়ের পরিচিতি আর দর্শনীয় ও বিখ্যাত স্থানসমূহকে মানুষের মাঝে পরিচিত করানোর জন্যই এ প্রচেষ্টা। কাপ্তাইয়ের মানচিত্রে ৫টি ইউনিয়নকে আলাদা করে বুঝানো হয়েছে। সবুজ অংশগুলো হলো পাহাড়। নীল চিহ্নে লেক আর কর্ণফুলী নদীর অবস্থান। আর এর ভিতরটায় বিভিন্ন পয়েন্টে রয়েছে বিখ্যাত কিছু স্থাপনার অবস্থান যা রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাইকে পরিচিত করেছে বিশ্বদরবারে। যেমনঃ কাপ্তাই বাঁধ, চিংম্রং বৌদ্ধবিহার, কর্ণফুলী পেপার মিলস, মুক্তিসোপান, কাপ্তাই লাভ পয়েন্ট, ফকির মুরং ঝর্ণা ইত্যাদি।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, কাপ্তাইয়ের নিরন্তর সৌন্দর্য ও মহকুমা থেকে বর্তমানে উপজেলা হওয়া পর্যন্ত লালায়িত ঐতিহ্য যুগ যুগের।অপরূপ সৌন্দর্যের এ লীলাভূমিকে নান্দনিক উপায়ে আরো নতুনত্ব আনতেই আমাদের এ প্রচেষ্টা “সুরূপা কাপ্তাই “মানে হলো সুন্দর রূপের অধিকারী কাপ্তাই। এ রূপ অবগাহনে সকলকে স্বাগতম জানাই।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এর সাবেক কমান্ডার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী জানান, উপজেলা প্রবেশমুখে নান্দনিকভাবে তৈরী “সুরূপা কাপ্তাই” এ চোখ পড়লে এক নজরে কাপ্তাইয়ের দর্শনীয় স্থান গুলো সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যাবে।
উপজেলা স্কাউটস এর সাধারণ সম্পাদক ও কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহাবুব হাসান বাবু জানান, ইউএনও মহোদয় কাপ্তাইয়ে মানুষের সামনে তুলে ধরতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নে বেশ কিছু শিল্পকর্ম স্থাপন করেছেন। তাঁরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা সদরে নির্মিত “সুরুপা কাপ্তাই” স্থাপনের মাধ্যমে কাপ্তাইয়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ফুঁটিয় তোলা হয়েছে।