পার্বত্য শান্তি চুক্তি ২৫ বছরে জুরাছড়িতে ২৫ জনের অধিক হত্যা

100

জুরাছড়ি প্রতিনিধিঃ-পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদনে পাহাড়ে স্থানীয় শান্তির আশা করেছিল পাহাড়ের মানুষ। পাহাড়ে উন্নয়নের আলো ছড়িয়ে পরবে দুর্গম অঞ্চলে। নিরাপদ বসবাস করবে তারা। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষ হয়ে ফিরবে শান্তির সুবাতাশ। কিন্তু পার্বত্য শান্তি চুক্তি ২৫ বছরে রাঙ্গামাটি জুরাছড়ি উপজেলায় হারিয়েছে অনেকে স্বামী, সন্তান, ভাই ও বাবা।
জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে ১ অক্টোবর দুমদুম্যা ইউনিয়নে একই পরিবারে ডাকাত দল ৫ জনকে হত্যা করে। ২০২২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারী বনযোগীছড়ায় ইউপিডিএফের স্বস্ত্র এক সদস্য নিহত। ২০০৬ সালে ১ডিসেম্বর সমঅধিকারের পূর্বাঞ্চলের নেতা কিনা মোহন চাকমাকে অপহরনের পর নৃশংস ভাবে হত্যা। ২০০৭ সালের ১ মার্চ প্রেম কুমার চাকমাকে পিটিয়ে হত্যা। ২০১০ সালে ইউপিডিএফের নেতা রাজু চাকমা ও সাধারণ নাগরিক দেম পেদা চাকমাকে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা। ২০১১ সালে জেএসএসের সমর্থক নিরঞ্জন চাকমা, কালা চান চাকমা, সন্তোষ চাকমাকে অপহরনের পর হত্যা। একই সালে ১৫ আগস্ট নব নির্বাচিত জুরাছড়ি ইউপি সদস্য গোপাল চাকমাকে গুলি করে হত্যা। ২০১৭ সালে ৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নেতা অরবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যা। ২০২০ সালে ১২ এপ্রিল বনযোগীছড়া ইউপি সদস্য হেমন্ত চাকমাকে গুলি করে হত্যা। সর্বশেষ ২০২১ সালে ১৬ জুন লুলাংছড়ি মৌজার স্থানীয় কার্বারী পার্থর মুনি চাকমাকে হত্যা করা হয়। এছাড়া প্রশাসনের অজ্ঞাত নজরের বাহিরে অপহরনের পর হত্যার স্বীকার হয়েছে প্রায় ১০-১৫ জন বলে দাবী স্থানীয় এলাকাবাসীদের।
স্থানীয় হেডম্যান করুনা ময় চাকমা বলেন, পার্বত্যবাসী শান্তি চুক্তি সম্পাদনে যে আশার আলো দেখেছিল-সেটি এখন শুধু মাত্র স্বপ্ন। সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি এখন রাজনৈতিক গেরাকলে পড়েছে। এখানে দুঃখ, যন্ত্রনা ছাড়া কিছুই নেই।
স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বলেন, হত্যা কখনো শান্তি ফিরে আসতে পারেনা। পার্বত্য এলাকায় ক্রমান্যয়ে বিভক্তি আঞ্চলিক সংগঠন সৃষ্টি হওয়াই পাহাড়ে বাড়ছে আতংক ও ভ্রাতিঘাতি সংঘাত। এতে পরিবারের মা-বাবা হারাচ্ছে ছেলে, স্ত্রী হারাচ্ছে স্বামী আর ছেলে-মেয়েরা হারাচ্ছে বাবাকে।
এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিউল আজম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, থানায় অধিকাংশ হত্যাকান্ডের ঘটনা রাজনৈতিক সংঘাত।