বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাকে মোকাবিলা করার জন্য অনাবাদি জমিকে কাজে লাগিয়ে শস্যের ফলন বাড়াতে হবে-অংসুই প্রু চৌধুরী

45

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাকে মোকাবিলা করার জন্য অনাবাদি জমিকে কাজে লাগিয়ে শস্যের ফলন বাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী। তিনি বলেন, খাদ্যাভাব দূর করার জন্য মৌসুম ভিত্তিক শস্য, ফলজ ও প্রাণীজ সম্পদের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে নির্দেশনা দেন তিনি। তিনি এ বিষয়ে হস্তান্তরিত বিভাগগুলিকে পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।
রবিবার (২০ নভেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর মাসিক সভা পরিষদের এনেক্স ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে সদস্য ঝর্ণা খীসা, সদস্য দিপ্তীময় তালুকদার, সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, সদস্য সবির কুমার চাকমা, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সদস্য নিউচিং মারমা, সদস্য ইলিপন চাকমা, সদস্য প্রিয় নন্দ চাকমা, সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, সদস্য প্রবর্তক চাকমা, সদস্য মোসাম্মৎ আছমা বেগম, সদস্য মোঃ আব্দুর রহিম, নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনাব মনতোষ চাকমা, হিসাব ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা জনাব মোঃ খোরশেদুল আলম চৌধুরী এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা জনাব অরুনেন্দু ত্রিপুরাসহ হস্তান্তরিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী আরো বলেন, উন্নয়নমূলক কাজের যেকোন সমস্যা আন্তরিকতার সাথে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। হস্তান্তরিত বিভাগ নিয়ে মাসিক সভা গতানুগতিক মনে হলেও সকল বিভাগের সমন্বয়ে বিভিন্ন্ বিভাগ সংশ্লিষ্ট সমস্যার সমাধান খুব সহজে করা যায় মন্তব্য করে বিভাগীয় কর্মকর্তাদেরকে সকল সভায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
এসময় হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাগণ স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
সভাশেষে মিশরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে গ্লোবাল সেন্টার অন এডাপটেশান কর্তৃক ইনক্লুসিভ লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদকে প্রদানকৃত সম্মাননা স্মারকটি পরিষদ চেয়ারম্যানকে সম্মেলনে হস্তান্তর করেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রতিনিধিত্বকারী অরুনেন্দু ত্রিপুরা।