নাইক্ষ্যংছড়ির ফুলতলী সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশী এক যুবকের পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন

122

শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়িঃ-বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে পায়ের পাতা বিছিন্ন হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে বাংলাদেশী এক যুবক।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) ভোর ৫টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী এলাকার সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া ঘেষে ঘটনাটি ঘটে। আঘাতপ্রাপ্ত যুবক রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের পূর্বহাজীরপাড়ার আবুল হাশেমের পুত্র মুহাম্মদ বেলাল (৩০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন জানান, বুধবার ভোরে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়ার ইউনিয়নের পূর্ব হাজির পাড়ার বেলাল নামে এক যুবক নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ফুলতলী সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার কাছে গেলে হঠাৎ দুইটি মাইন বিস্ফোরণের প্রকট আওয়াজ শুনতে পাই সীমান্তবাসীরা। সাথে সাথে আমাকে ফোনে ঘটনার খবরটি জানায়। তাতে ঘটনার বিস্তারিত জানতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত বেলাল এর আগেও ইয়াবা বড়ি নিয়ে বিজিবির হাতে আটক হয়েছিল। সে একজন মাদক কারবারি বলে সীমান্তবাসীর থেকে জানা যায়। অতএব এলাকাবাসী এবারেও সন্দেহ করছে ইয়াবা পাচারের কাজে সে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কাছে গিয়েছিল। সেখানে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার ভোর ৫টার দিকে ফজরের নামাজ আদায় করার সময় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার সংলগ্ন ওপারে মিয়ানমার ভূখন্ডে দুইটি প্রকট শব্দ শুনা যায়। তখন নামাজ শেষে স্থানীয়রা ঘটনার বিস্তারিত জানতে গিয়ে জানা যায় রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নেন পূর্ব হাজি পাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল হাশেমের পুত্র মুহাম্মদ বেলাল মাইন বিস্ফোরণে পায়ের পাতা বিছিন্ন হয়ে গুরুতর আঘাত পাই। ঘটনা স্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা আরও জানান, বেলাল একজন মাদক কারবারির সদস্য। এর আগেও সীমান্ত থেকে ইয়াবা মাদক পাচারের সময় হাতেনাতে আটক করে বিজিবি। সে জেল থেকে বের হয়ে আবারও পুরাতন ইয়াবা কারবারে জড়িত হয়েছে বলে ধারনা করছে স্থানীয়রা।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টান্টু সাহা সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাঁর ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের চাকঢালা, আশারতলী, ফুলতলী, কম্বনিয়া, জামছড়ির কয়েকটা পয়েন্টে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারের চোরাই পথে গরু আর ইয়াবা বড়ি নিয়ে আসছে কয়েকটি সিন্ডিকেটের সদস্য।