রাঙ্গামাটি পার্বত্য পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে জাতিসংঘ আবাসিক প্রতিনিধি দলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ

70

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-রাঙ্গামাটি পার্বত্য পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘ আবাসিক প্রতিনিধি মিস্টার স্টেপান লিলার, ইউএনএফপিএ মিসেস ক্রিস্টিন ব্লকহাস, এফএও কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মিঃ রবার্ট সিমসন, ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মিঃ শোল্ডেন ইয়েট, ইইউ প্রতিনিধি দলের প্রধান এইচ ই চার্লস হোয়াইটলি, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার এইচ ই মিঃ রবার্ট চ্যাটারন ডিকসন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এইচ ই এসপেন রিক্টর সেভেন্ডসেন, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিসেস গাইউইন লুইস রাষ্ট্রদূত ও দাতা সংস্থার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থার প্রতিনিধি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর সাথে তার অফিস কক্ষে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
প্রতিনিধি দল সরকারের উন্নয়নমূলক বিভিন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন তার মধ্যে এখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে বুঝতে চান। পার্বত্য চুক্তির আলোকে গঠিত পরিষদগুলো এখানে কিভাবে উন্নয়নমূলক কাজ করে এবং এখানকার মানুষ কিভাবে তাদের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করেছে এ সম্পর্কে তারা জানতে চান।
চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী পরিদর্শন টীমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, শান্তি চুক্তির পরবর্তী বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বান্তবায়ন করে যাচ্ছে তার মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, রাস্তাঘাট, কৃষি, বনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ এলাকার পিছে পড়া জনগোষ্টির জন্য রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত পরিষদ ব্যবস্থা, হস্তান্তরিত বিভাগ, জেলার উন্নয়ন কর্মকান্ড সমন্বয়, এনজিও সমন্বয় এবং পরিষদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন এবং শান্তিচুক্তির পর ইউএনডিপির মাধ্যমে বিদেশী দাতাদের সহায়তায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন জেলার প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল জাতীয়করণ, ম্যালেরিয়া নির্মূলকরণ এবং কৃষিক্ষেত্রে সাফল্য আত্বসামাজিক উন্নয়নসহ নারীশিক্ষা উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দাতা সংস্থাদের বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বনায়ন, এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করলে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে এলাকার মানুষকে সচেতন এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম করা সম্ভব হবে।
তিনি শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন সম্পর্কে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের অংশ হিসাবে শান্তিচুক্তি হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, ভারত প্রত্যাগত এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে টাস্কফোর্স এবং ভূমি সমস্যা সমাধানে ভূমি কমিশন সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের দারিদ্রতা বিমোচন এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় দাতা সংস্থাগুলো এগিয়ে আসবে।
সাক্ষাতকার অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ও আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থার প্রতিনিধি এবং পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, ঝর্না খীসা, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মোঃ শিবলী নোমান উপস্থিত ছিলেন।